সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসার অছিলায় মহিলাদের ধর্ষণ, তাও সরকারি হাসপাতালে! এমনই গুরুতর অভিযোগে ওড়িশার এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, দুই মহিলার অভিযোগ পরই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম পরীক্ষার জন্য রবিবার হাসপাতালের এসেছিলেন মহিলা। হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি বিভাগে এক চিকিৎসক মহিলার যৌন নিগ্রহ করেন। একই ঘটনা ঘটানো হয় আরও এক মহিলার সঙ্গেও। এর পর সোমবার স্থানীয় মঙ্গলবাগ থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুই মহিলা। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত চিকিৎসককে। পাশাপাশি ওড়িশার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশবাসীর কাছে বিচার চাই’, বাংলাদেশ ছাড়ার পর প্রথম বিবৃতি হাসিনার]
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই দুই মহিলার টেস্টের তারিখ দেওয়া হয়েছিল শুক্রবার। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক সেই তারিখ পালটে রবিবার করে দেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক রবিবার বেশিরভাগ চিকিৎসকই ছুটিতে থাকেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই দুই মহিলার যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ নির্দেশ দিলেই কি আমরা নিষিদ্ধ হয়ে যাব?’, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন জামাতের]
হাসপাতালের মধ্যেই এমন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর রোগীর পরিজনরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। হাসপাতালের মধ্যেই অভিযুক্তকে রোগীর পরিজনরা মারধর করে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মারধর সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ তাদের কাছে দায়ের হয়নি।