সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসদুয়েক আগে যখন চোখে সামান্য অস্বস্তি শুরু হয়েছিল তখন কি বয়স্ক মানুষটি ভাবতেও পেরেছিলেন, কোন বিপদ বাসা বেঁধেছে তাঁর চোখের ভিতরে! এরপর ক্রমশ ব্যথা বাড়ায় ছুটতে হল হাসপাতালে। অবশেষে সামনে এল গা শিরশিরে সত্যি। দেখা গেল চিনের (China) ওয়াং পদবিধারী ওই বৃদ্ধের চোখের মধ্যে বসবাস করছে প্রায় কুড়িটির মতো কৃমি (Worm)! এবং তারা রীতিমতো জলজ্যান্ত!
দিনকয়েক আগে থেকেই ব্যথাটা সহ্যের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরপরই সুঝাউ শহরের হাসপাতালে ভরতি হন বৃদ্ধ। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা চমকে ওঠেন। ওই ভদ্রলোকের চোখের পাতায় একঝাঁক জ্যান্ত কৃমি কিলবিল করতে দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অবশেষে ড. জিটিং নামের এক চিকিৎসক অপারেশনের মাধ্যমে নেমাটোড নামের পরজীবীগুলিকে রোগীর চোখ থেকে বের করে আনেন। এই পরজীবীগুলি বেশ তাড়াতাড়ি বাড়ে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই তারা লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ চেহারা নেয়। সাধারণত কুকুর, বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের চোখের অশ্রুগ্রন্থিতে বসবাস করে।
[আরও পড়ুন: প্রযুক্তি দিয়ে পরিবেশের ক্ষয়রোধ সম্ভব নয়, বরিস জনসনের ধারণা ভেঙে দিলেন বিশেষজ্ঞরা]
কিন্তু কী করে তা একজন মানুষের চোখে বাসা বাঁধল তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই। ৬০ বছরের ওয়াং জানাচ্ছেন, তাঁর কোনও পোষ্য নেই। তবে তাঁর ধারণা কাজের জন্য বাইরে বাইরে ঘুরতে হয় তাঁকে। সম্ভবত তখনই কোনও ভাবে ওই কৃমিগুলি বাসা বেঁধেছিল তাঁর শরীরে।
এই ধরনের ঘটনা অবশ্য খুব বিরল নয়। এরকম আগেও দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাঁদের সাবধান করে দিয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পোষ্যের স্বাস্থ্যের দিকে যেন নজর রাখা হয়। অন্যথায় নেমাটোড তাঁদের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি চোখে কোনও রকম সমস্যা কিংবা দেখতে অসুবিধা হলে যেন দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হয়।