সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona) বিরুদ্ধে তাঁরা একদম সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন। অথচ সেই চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের মার খেতে হল রোগীর বাড়ির লোকেদের হাতে। এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি আজ মঙ্গলবার দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের বলে জানা গিয়েছে।
মাত্র ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতাল চত্বরে কয়েক জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি লাঠি নিয়ে হামলাকারীদের দিকে চড়াও হয়েছে। ভয়ে পালাচ্ছে সেই হামলাকারীরা।সম্ভবত লাঠি হাতে ওই ব্যক্তি হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মী। ঘটনাটি সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘটেছে। পুলিশ পৌঁছয় প্রায় ১১টা নাগাদ।
[আরও পড়ুন: এবার প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে করোনার থাবা, প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির প্রিয়জন]
জানা গিয়েছে, বছর সাতষট্টির এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভরতি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউ-তে কোনও বেডই খালি ছিল না। ফলে তাঁকে ভরতি করা যায়নি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরই ওই বৃদ্ধার বাড়ির লোকজন চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। সেই ঘটনাই কেউ ক্যামেরাবন্দি করে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন।
দিল্লিতে আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবক করোনা সেন্টারের বাইরে বসে চোখের জল মুছছেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে ওই যুবক লড়াই চালাচ্ছিলেন যাতে মাকে হাসপাতালে ভরতি করা যায়। কিন্তু তিনি ভরতি করাতে পারেননি। যে অটোতে করে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল তার ভিতরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই মহিলা।
এদিকে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি, কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারের লোকেদের জন্য দিল্লির বিলাসবহুল অশোকা হোটেলের ১০০টি কামরা বুক করার কথা জানিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদের সেখানে রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু তা করতে গিয়ে কার্যত হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
[আরও পড়ুন : করোনার ধাক্কা রেলপথে, একসঙ্গে বাতিল হচ্ছে বহু ট্রেন]
রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশের পর, হাই কোর্টের তরফে বলা হয়, তাঁরা কখনও কোনও পাঁচ তারা হোটেলের সুবিধা চাননি। তাঁরা বলেছিলেন, যদি বিচারপতি, কোর্টের কর্মচারী বা তাঁদের পরিবারের লোকজন করোনা আক্রান্ত হন তবে তাঁরা যাতে হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা পান সেটা যেন দেখা হয়। অবিলম্বে আপ সরকারের এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়।