সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধুদের সঙ্গে ঝরনায় স্নান করতে গিয়েছিল এক কিশোর। কিন্তু সেই সময় তার অজান্তে নাকে ঢুকে পড়ল এক জোঁক। পরবর্তী ১৪ দিন ধরে সেখানেই ছিল সেটি। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতেই সামনে এল ভয়ংকর সত্যি! আর কয়েকদিন দেরি হলে মৃত্যুও হতে পারত কিশোরটির। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এমনই অভিজ্ঞতা হল ১৯ বছরের এক তরুণের।
ঠিক কী হয়েছিল। ২ সপ্তাহ আগে বন্ধুদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিল সেসিল নামের ওই কিশোর। সেখানে গিয়ে এক ঝরনায় স্নানও করে সে। বন্ধুদের সঙ্গে হইহই করে স্নান করার সময় তার বাম নাসারন্ধ্রে ঢুকে পড়ে একটি জোঁক! কিন্তু ঘুণাক্ষরেও তা টের পায়নি সেসিল। বাড়ি ফেরার পর ক্রমাগত তার নাক চুলকোচ্ছিল। নাক দিয়ে রক্তও পড়ছিল। পাশাপাশি একটা অদ্ভুত অনুভূতিও হচ্ছিল নাকের একেবারে ভিতরে।
[আরও পড়ুন: IS জঙ্গিদের জেরায় হদিশ, কলকাতা পুলিশের অভিযানে মধ্যপ্রদেশে গ্রেপ্তার মডিউলের মাথা]
দেখতে দেখতে দুসপ্তাহ হয়ে গেলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। হওয়ার কথাও নয়। কেননা নাকের ভিতরে তখনও সেঁধিয়ে রয়েছে জোঁকটি। এর পর চিকিৎসকের কাছে যেতেই তিনি পরীক্ষা করেন সেসিলের নাকের ভিতরের অংশ। আর তখনই দৃশ্যমান হয় জোঁকটি। এর পরই দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টেলিস্কোপ মেথড অবলম্বন করে সেটিকে বের করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেরি হলে প্রাণ সংশয়ও হতে পারত সেসিলের। কেননা জোঁকটি রক্ত খেতে খেতে হয়তো তার চোখ কিংবা মস্তিষ্কে পৌঁছে যেত। সেখানেও সে রক্তপান করে চলত। ফলশ্রুতি, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত সেসিল। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হওয়ার কারণেই প্রাণে বেঁচে গেল সে।
চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, সাধারণত এই ধরনের জলাধার বা ঝরনার কাছে গেলে জোঁকের দেখা পাওয়া যায়। অনেকসময়ই সেগুলি আটকে থাকে মানুষের গায়ে। কিন্তু এভাবে নাকের ভিতরে ঢুকে পড়াতেই ঘটে যায় বিপত্তি।