অভিরূপ দাস: মুখ-মাথা আপাদমস্তক কাপড়ে মোড়া। রাত্রিবেলা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। কিম্ভূত চেহারা দেখে তাড়া করছে সারমেয়। মাস্ক খুললে ভাইরাস, মুখ ঢাকলে কুকুরের কামড়! অস্থির শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ। প্রতিদিনই কেউ না কেউ সারমেয়র কামড় খাচ্ছেন। ভিড় বাড়ছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে।
তবে শুধু মাস্কই নয়, কুকুরের কামড়ের জন্য তাদের বিগড়ে যাওয়া মেজাজকেও দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের সুপার সৌমাভ দত্ত জানিয়েছেন, রাস্তার কুকুরগুলি নিয়মিত খেতে পাচ্ছে না। অভুক্ত কুকুর স্বাভাবিকভাবেই খেপে রয়েছে। সেখান থেকেও একটা কামড়ে দেওয়ার প্রবণতা জন্ম নিতে পারে। রাত করে যাঁদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তাঁরাই। অনেক অফিসেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। গুটিকয়েক যে কর্মচারী যাচ্ছেন তাঁদের বাড়ি ফিরতে রাত হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘এত লাশ কোথা থেকে এল, ধাপাতে পোড়ানো হয়নি কেন?’, শ্মশান কাণ্ড নিয়ে তদন্ত চান দিলীপ]
ভবানীপুরের অজিত দত্তগুপ্ত, হালতুর ঋত্বিকা মিত্র দু’জনেই চাকরি করেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি অফিসে। রাতে অফিসের গাড়ি পাড়ায় নামিয়ে দেয়। এদিকে সরু গলিতে ঢুকতে গিয়েই বিপত্তি। ঋত্বিকা জানিয়েছেন, আচমকাই একদিন পাড়ার কুকুরগুলো দৌড়ে এসে ওড়না কামড়ে ধরে। কোনওরকমে দৌড়ে বাড়িতে ঢুকেছি। শহরের পশুপ্রেমীর সংগঠনের কর্ণধার সুকন্যা দে পথকুকুরদের ক্রেশ চালান। এমন ঘটনাকে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলছেন তিনি। শম্ভুনাথের সুপার জানিয়েছেন, আমরা আপাতত ৩০ জনের বেশি রোগী নিচ্ছি না। কুকুরের কামড় খেয়ে যাঁরা আসছেন তাঁদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পাস্তুরে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনাজয়ী কলকাতা পুলিশের ৪০ কর্মী, কেপিসি হাসপাতাল থেকে ফিরলেন বাড়ি]
The post মাস্ক পরে বেরলেই তেড়ে এসে কামড়াচ্ছে কুকুর, ভিড় বাড়ছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে appeared first on Sangbad Pratidin.