shono
Advertisement

বর্ষায় টিক্সের হানায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে সারমেয়রা, সতর্ক হন এখনই

কীভাবে মোকাবিলা করবেন টিক্সের সঙ্গে?
Posted: 01:42 PM Jul 14, 2022Updated: 01:42 PM Jul 14, 2022

অভিরূপ দাস: ছ’টা পা। লালচে চেহারা। চুম্বক যেমন এঁটে থাকে লোহার গায়ে, তেমনই তা মিশে থাকে কুকুরের লোমে। এর পোশাকি নাম টিক্স (Ticks)। পশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষায় ক্রমেই বাড়ছে এই পোকার সংক্রমণ। যার দাপটে মৃত্যুও হচ্ছে সারমেয়র। ফলে সতর্ক হতে হবে এখনই। 

Advertisement

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর সারমেয় মারা গিয়েছে পোকার কামড়ে। জাতে ল্যাব্রাডর কুকুরটির বয়স ছিল দশ বছর। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে লেখা হিমোপ্রোটোজয়া পজিটিভ। পশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই যে প্রোটোজোয়া বা পরজীবী তাকে মুখে করে নিয়ে আসছে টিক্স পোকা। কুকুরের গায়ে সাধারণত দু’ধরনের পোকা হয়। একটি টিক্স, অন্যটি ফ্লি। এর মধ্যে টিক্স সাংঘাতিক। কোথায় থাকে এই টিক্স?

[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে ফের তলব রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে, ডাকা হল বাঘমুণ্ডির বিধায়ককেও]

পশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিৎ নন্দী জানিয়েছেন, কুকুরের ত্বক মুখ দিয়ে কামড়ে ধরে থাকে এই পোকা। এতটাই জোরে তা এঁটে থাকে সহজে হাত দিয়ে ছাড়ানো যায় না। চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে তবেই খসে পড়ে। কিছু ‘টিক্স’ মুখ থেকে আঠালো পদার্থ নিঃসরণ করে যা তাদের কুকুরের লোমের সঙ্গে লেগে থাকতে সাহায্য করে। কী সমস্যা হয় এই পোকা থেকে? কুকুরের লোমের গোড়ায় বসে রক্ত খায় টিক্স। অতিরিক্ত রক্ত খেয়ে নিলে কুকুরের মধ্যে রক্তাল্পতা দেখা যায়। টিকের কামড়ে কুকুরের ক্ষতস্থানে একধরনের ব্যাকটিরিয়া তৈরি হয়। এর নাম বোরেলিয়া বার্গদোফেরি (Borrelia burgdorferi )। তা থেকে দেখা যায় লাইম ডিজিজ।

এ অসুখ থেকে কুকুরের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা শুরু হয়। ধীরে ধীরে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়। জ্বর আসে, খিদে কমে যায়। লিভার বিকল হয়ে পড়ে। মানুষের মতো কুকুরেও লিভার থেকে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই প্রোটিন তৈরি হওয়া বন্ধ হয়। ফলে কুকুরের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরীরে জল জমতে থাকে। জল জমে ফুসফুসেও। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সারমেয়র। কুকুরের গায়ে টিক্স হলে তাই অবিলম্বে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কোথা থেকে আসে এই পোকা? ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মূলত নোংরা পরিবেশ থেকেই কুকুরের গায়ে এই পোকা আসে। তাই বর্ষার মরশুমে কুকুরকে তাই রাস্তাঘাটে নয়, বাড়ির ছাদে হাঁটানোর নিদান দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতি সপ্তাহে স্নান করাতে হবে পোকানাশক শ্যাম্পু দিয়ে।

[আরও পড়ুন: ‘বেইমানির প্রায়শ্চিত্ত’, লাল কালিতে লেখা চিরকূটের পাশ থেকে উদ্ধার শতায়ু বৃদ্ধের ঝলসানো দেহ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement