এবারের দোল অন্যরকম। করোনার (Corona Virus) ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ চিন্তা বাড়াচ্ছে। রং নিয়ে সকলেই কমবেশি দ্বিধায়। কী বলছে টলিউডের নতুন প্রজন্ম? শুনলেন বিদিশা চট্টোপাধ্যায়।
দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) –
আমি যে খুব দোল খেলি এমন নয়, এমনিতেই খুব ঘরকুনো। বাড়ি থেকে বেরতে চাই না। বাড়িতেই ছোট করে গেট টুগেদার হবে। যাঁদের সঙ্গে কাজ করি, যাঁদেরকে নিয়ে থাকতে হয়, তাঁদেরকে নিয়েই অনুষ্ঠান। আর বিকেলবেলায় আমাদের ‘সোনার সংসার’ আছে। সবাই মিলে টিভিতে ওটাই দেখব। তবে যাঁরা দোল খেলবেন তাঁদের মাথায় রাখতে হবে সেকেন্ড ওয়েভটা বিপজ্জনক হতে পারে। আর একটা বড় লকডাউন কিন্তু আমরা অ্যাফর্ড করতে পারব না। তার চেয়ে প্রিকশন নেওয়া ভাল। যতটা কম ভিড়ে, চেনা পরিসরে খেলা যায় ততটাই ভাল। রং এড়িয়ে চললে আরও ভাল।
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Rwitobroto Mukherjee) –
কিছু মানুষ যাঁরা করোনা (COVID-19) নিয়ে আগের চেয়ে কম মাথা ঘামাচ্ছেন তাঁরা হয়তো খেলবেন, কিন্তু যেহেতু আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে, তাই কেউ কেউ সতর্ক হয়ে দোল (Dol Utsav) খেলবেন। অথবা যাঁরা ভয়ে আছেন তাঁরা খেলবেন না। আগেরবার তাও দোল খেলেছিলেন অনেক মানুষ। কারণ, তখনও লকডাউন সেভাবে শুরু হয়নি। তবে এবারে দোল খেলতে হলে একটু সতর্কতার সঙ্গেই খেলা উচিত। আমার নাটকের শো থাকবে, তাই আমি খেলতে পারব না।
[আরও পড়ুন: ‘আমি তোমাকেই বিয়ে করব’, কঠিন প্রতিজ্ঞা অনুরাগীর, কী জবাব দিলেন মিমি?]
সুরাঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Surangana Bandyopadhyay) –
ইদানীং অনেকেই পরিস্থিতি নরমালি নিতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, করোনার গ্রাফ আবার ঊর্ধ্বমুখী। পুরোপুরি চলে যায়নি। তাই দোল খেললেও যথেষ্ট সতর্কতা নিয়েই খেলা উচিত! আর আমি একটা সময় প্রচণ্ড দোল খেলতাম। খুবই ভালবাসতাম এবং এত দোল খেলেছি যে, সারাজীবনের কোটা শেষ করে ফেলেছি বলা যায়। এখন আর অতটা রং (Color Festival India) খেলা হয় না। ওই ক্রেজটা চলে গিয়েছে হয়তো। আর সব সময়ই কোনও না কোনও কাজ থাকে, তাই দোল খেলা হয় না। এবারের দোল তাই বড়দের পায়ে আবির দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলেই মনে হয়।
অমর্ত্য রায় (Amartya Ray) –
এই সময়ে দাঁড়িয়ে দোল খেলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বলা যায়। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে একটা চিন্তার বিষয় রয়েছে। কেস-এর সংখ্যা বাড়ছে। তাছাড়া দোল বা হোলি তো আর ফুরিয়ে যাবে না। আগামী বছর আবার আসবে। একটা বছর যদি আমরা একটু ধৈর্য ধরি তাহলে মনে হয় ভাল হয়। মানে অত ধুমধাম করে রং, জল দিয়ে না খেলে অল্প আবির মাখিয়ে নিরস্ত থাকলেই ভাল। আর লকডাউনে আমরা নিজেদের নতুন নতুন ভাবে প্রকাশ করতে শিখেছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব অন্যরকমভাবে দোল খেলতে। আর এটা তো শুধু রঙের উৎসব নয়, প্রীতি ও শুভেচ্ছার উৎসব। তো সেই প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালবাসা আমরা ছড়িয়ে দিই বরং।