সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওষুধ ব্যবসায় বড়সড় কেলেঙ্কারি। তোলপাড় গোটা দেশ। চিকিৎসকদের ১ হাজার কোটি টাকা উপহার দিয়ে সংস্থার প্রচারের অভিযোগ উঠল Dolo 650’র প্রস্তুতকারী সংস্থা মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেডের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পেশ করা হয়েছে এই তথ্য।
করোনা কালে (Coronavirus) দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ওষুধের তালিকা তৈরি করলে সম্ভবত প্রথমেই আসবে Dolo 650’র নাম। লকডাউনের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে এই Dolo 650’র প্রস্তুতকারী সংস্থা মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেড। কিন্তু প্যারাসিট্যামল গোত্রের এই ওষুধটির ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণ কি শুধু এর উপযোগিতা? নাকি এটির জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রস্তুতকারী সংস্থা কোনও অনৈতিক উপায় ব্যবহার করেছে? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে সাময়িক স্বস্তি অনুব্রতকন্যার, হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
সুপ্রিম কোর্টে এক মামলায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের একটি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই Dolo 650’র প্রস্তুতকারকরা নিজেদের ওষুধের প্রচার করার জন্য চিকিৎসক এবং চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত অন্য পেশার মানুষদের মোটা অঙ্কের উপঢৌকন দিত। সব মিলিয়ে ওষুধের বিক্রি বাড়াতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ও অন্যান্য উপহার চিকিৎসক ও চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করেছিল অভিযুক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। এর বিনিময়ে চিকিৎসকরা আরও বেশি বেশি করে এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করতেন। অর্থাৎ স্রেফ আর্থিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করা হয়েছে।
আদালতে ওই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা দাবি করেছে, এই তথ্য তারা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কর নিয়ন্ত্রক সংস্থা CBDT-থেকেই। মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন,”টাকা নিয়ে চিকিৎসকরা করোনার সময় এই ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত প্রেসক্রাইব করতেন।” আইনজীবীর এই দাবির সঙ্গে সম্মতি জানান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়। তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকেও। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে ফের মামলাটির শুনানি।