সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট হলেই ক্যাপিটল হিংসায় জেলবন্দিদের মুক্তি দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নিজের সোশাল মিডিয়ায় এই কথা জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার সঙ্গে মেক্সিকোর সীমানা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
২০২০ সালে বাইডেনের কাছে হেরে ক্ষমতা হারান ট্রাম্প। এর পরই ভোটের ফলাফলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা। অভিযোগ, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান ট্রাম্প-সমর্থকরা। শতাধিক অভিযুক্তকে জেলবন্দি করা হয় এই ঘটনায়। অন্যতম অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে ট্রাম্পের নামও। কলম্বিয়ার প্রাদেশিক আদালত জানিয়ে দেয়, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া যাবে না। ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প আদৌ লড়তে পারবেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে ভারতের ‘সুপার স্পাই’ ডোভাল, গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা নেতানিয়াহুর সঙ্গে]
যদিও ইতিমধ্যেই রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন লড়া নিশ্চিত করে ফেলেছেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের মার্কিন (USA) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জো বাইডেন বনাম ডোনাল্ড ট্রাম্পই হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ঝুলে থাকাটা এখনও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে ‘কাঁটা’ তৈরি করে রেখেছে। আগামী ২৫ এপ্রিল ক্যাপিটল মামলায় ট্রাম্পের রক্ষাকবচের আবেদন নিয়ে শুনানি হবে। তিনি রক্ষাকবচ পেয়ে ভোটে লড়তে পারবেন কিনা, তাও জানা যাবে ওইদিনই।
কিন্তু রক্ষাকবচ না পেলেও ট্রাম্প আছেন স্বমেজাজেই। নিজস্ব ট্রুথ সোশালে তিনি লেখেন, “আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমার প্রথম কাজই হবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া। আর ৬ জানুয়ারির ঘটনায় যাদের বেআইনিভাবে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দেব।” দ্বিতীয়বার কি হোয়াইট হাউসের মসনদে বসতে পারবেন ট্রাম্প? উঠছে প্রশ্ন।