সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর দেশ জুড়ে বেআইনি গো-হত্যা রুখতে উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের সেই উদ্যোগে শামিল বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিও। আগামী ১৫ আগস্টের পর বিজেপিশাসিত হরিয়ানায় আর কোনও গরুকে আশ্রয়হীন অবস্থায় রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাবে না বলে ঘোষণা করল মনোহরলাল খাট্টারের সরকার। আর এবার গো-শালা তৈরির জন্য সরকারী কর্মচারীদেরই স্বেচ্ছায় অর্থদান করতে বলল হরিয়ানা সরকার।
[মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল কেরলের বাম সরকার]
জানা গিয়েছে, জেলাস্তরে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন হরিয়ানার ডেপুটি কমিশনাররা। বৈঠকে সরকারি কর্মীদের কাছ থেকে এই অনুদান সংগ্রহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, গত ৬ জুন হিসার জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন জেলার ডেপুটি কমিশনার। চিঠিতে কারা অনুদান দিলেন আর কারা দিলেন না, তাঁদের নামের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
[কাজাখস্তানে শরিফের সঙ্গে কুশল বিনিময় মোদির]
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর, গো-শালার জন্য অনুদান সংগ্রহে নেমেছে পড়েছে জেলা প্রশাসন। বেশ কয়েক জেলায় তো সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অনুদান কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে, তা লিখিতভাবে জানিয়েও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। কোনও কোনও জেলায় আবার মাইনে থেকেই অনুদানের টাকা কেটে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
[‘মঙ্গলগ্রহে আটকে রয়েছি’, উত্তরে কী বললেন সুষমা?]
তবে সবাই যে গো-শালার জন্য অনুদান দিতে রাজি হয়েছেন, এমনটা নয়। গোশালার জন্য অনুদান দিতে অস্বীকার করেছেন ভবানি জেলার সরকারি কর্মচারীরা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। হরিয়ানা এডুকেশন মিনিস্টেরিয়াল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি সন্দীপ সাঙ্গওয়ান বলেন, “সরকার মুখে স্বেচ্ছায় অনুদানের কথা বলছে ঠিকই। তবে এ বিষযে ডেপুটি কমিশনার সরকারিভাবে যে নির্দেশ জারি করেছেন, তা সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়।”
The post গো-শালা তৈরিতে কর্মীদের স্বেচ্ছায় অনুদান দিতে বলল হরিয়ানা সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.