সন্দীপ চক্রবর্তী: নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিপিএমের (CPM) তহবিলে ও কৃষক আন্দোলনে টাকা দেওয়ার কারণে বাতিল হয়ে গেল সিপিএম প্রভাবিত পোস্টাল ইউনিয়নের স্বীকৃতিই। বস্তুত, সারা দেশে সিপিএম ও বাম প্রভাবিত এই ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যাই সবথেকে বেশি, প্রায় এক লক্ষ। ইউনিয়ন সদস্যদের থেকে টাকা তুলে এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে বা সরাসরি তহবিলে দেওয়া যায় না। পোস্টাল বিভাগের সিএসএস (আরএসএ) নিয়মেই এই বিষয় উল্লেখিত রয়েছে।
সেই কারণে বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রের ডাক মন্ত্রকের ডাইরেক্টরেট থেকে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ পোস্টাল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কোনও স্বীকৃতি আর থাকবে না ওই ইউনিয়নের। অভিযোগ, ২০২১ সালে যে কৃষক আন্দোলন হয়, সেখানেই ৫০ হাজার টাকা ‘দান’ করে এনএফপিই।
[আরও পড়ুন: সুকন্যার গ্রেপ্তারির পরই ইডি দপ্তরে বান্ধবী, কাঁদতে কাঁদতে বললেন,’ওর পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই’]
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্যাংকের লেনদেনেই স্পষ্ট যে ওই টাকা সিটু-র অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেওয়া হয়েছে ইউনিয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে। এছাড়াও সিপিএমের তহবিলে দেওয়া হয়েছে চার হাজার ৯৩৫ টাকা। গোটা বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রকের ডাক বিভাগ থেকে কারণ দেখানোর সুযোগও দেওয়া হয়েছিল। ২৯ মার্চ সেই জবাব আসে। আর তারপর বুধবার দিল্লির সংসদ মার্গের ডাক ভবন থেকে পাঠানো হয়, সিসিএস (আরএসএ) রুলস, ১৯৯৩ অনুসারে অল ইন্ডিয়া পোস্টাল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন গ্রুপ ‘সি’ ও এনএফপিই-র স্বীকৃতি বাতিল করা হল। চিঠি পাঠানো হয় এনএফপিই-র সেক্রেটারি জেনারেল ও এআইপিইইউ গ্রুপ সি-র জেনারেল সেক্রেটারি জনার্দন মজুমদারকে।
ওই সংগঠনের কোনও কর্তার প্রতিক্রিয়া এ ব্যাপারে না জানা গেলেও বিজেপির বিএমএস প্রভাবিত ভারতীয় পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের সার্কেল সেক্রেটারি স্বর্ণেন্দু চক্রবর্তী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে করোনা পরিস্থিতিতে যাঁরা সাড়া দেননি, তাঁরাই কর্মচারীদের কষ্টার্জিত টাকা বিনা অনুমোদনে অন্যত্র টাকা দিয়েছেন। প্রত্যক্ষভাবে কেন্দ্রের বিরোধিতা করার উপযুক্ত বিচার হয়েছে। এটা জাতীয়তাবাদের বিরোধিতাও বটে।’’ উল্লেখ্য, বিএমএস-এর ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা সারা দেশে প্রায় ৬০ হাজার বলে দাবি করা হয়।