সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মামলা-মোকদ্দমা তেমন কিছুই হল না। অথচ জেল হয়ে গেল। এমন অন্যায়-অবিচার কি মেনে নেওয়া যায়? মোটেও না। সুকুমার রায়ের ‘নেড়ার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসি’ হয়েছিল। যোগীর রাজ্যের গাধাদের চার চারটে দিন গারদে কাটাতে হয়। শেষে নেতার কৃপায় মিলল মুক্তি।
[কলকাতায় বড় কিডনি পাচার চক্রের খোঁজ, গোয়েন্দাদের জালে ৪]
কী এমন অপরাধ ছিল তাদের? তৃণভোজী হয়ে জন্মেছে তাই স্বভাবের বশে কিছু গাছগাছালি খেয়ে ফেলেছিল। তাতেই উত্তরপ্রদেশের উরাই জেলায় চার চারটে দিন জেলে কাটাতে হল গাধার দলকে। হেড কনস্টেবল আর কে মিশ্রর অভিযোগ, স্থানীয় জেলের চারপাশে কিছু গাছ পোঁতার কথা ছিল। নিজের পছন্দ অনুযায়ীই গাছও কিনে এনেছিলেন জেলের আধিকারিকরা। জেলের বাইরে চারা পোঁতা হলেও তা মুড়িয়ে খেয়ে যাচ্ছিল গাধাগুলি। এ বিষয়ে গাধাদের মালিককে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও রাশ টানেননি নিজের পোষ্যদের উপর। প্রায় তিন লক্ষ টাকার সম্পত্তি নাকি নষ্ট করেছে গাধারা। তাই আটক করে রাখা হয়েছিল তাদের।
[উকুনের জ্বালায় জেরবার আপনার সন্তান? নিস্তার এই সহজ উপায়ে]
এদিকে গাধাদের আটক হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা শক্তি গহোইয়ের দ্বারস্থ হন মালিক কমলেশ। শোনা গিয়েছে, নিজের এলাকায় এ অনাচারের খবর পেয়েই সোজা তিনি থানায় উপস্থিত হন। কর্তাদের নির্দেশ দেন অবিলম্বে অভিযুক্তদের ছাড়া হোক। তাঁর নির্দেশেই শেষে মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। একে একে থানার অন্দর হতে বেরিয়ে আসে। হাসি ফোটে কমলেশের মুখে। তবে এই পরোপকারের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি অন্য একটি কাজ করতে থানায় এসেছিলেন তিনি। সেটি করেই ফিরে যান। এমন কোনও খবর তাঁর কাছে ছিল না। তিনি শোনেননি। বিতর্ক বাড়াতে চান না কমলেশও। তাঁর গাধারা চারদিনেই মুক্তি পেয়েছে। এতেই খুশি তিনি।
[গ্রামের সবাইকে শৌচাগার ব্যবহারের উদ্যোগ, মূক ও বধির বালকের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত মোদি]
The post যোগীর রাজ্যে ‘অপরাধ’-এর মাশুল, চার দিনের জেল হেফাজত গাধার appeared first on Sangbad Pratidin.