সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না তাইওয়ান (Taiwan), এমনটাই বলেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং-ওয়েন। তবে যুদ্ধ না হলেও সামরিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে তাইওয়ান। সোমবার চিনের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে ওয়েন বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। প্রসঙ্গত, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তাইওয়ানে নির্বাচন হতে চলেছে। সেই সময় দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মনে করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
সোমবার দেশের জনতার সামনে বক্তৃতা দেন ওয়েন। নির্বাচনের আগে তিনি বলেন, “বেজিংয়ের প্রশাসকদের আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা কেউই যুদ্ধ চাই না। তাইওয়ানের মানুষের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান করা উচিত চিনের।” সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে তাইওয়ান। নতুন ধরনের মিসাইল থেকে শুরু করে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ-সমস্ত কিছুই তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। শত্রুপক্ষের হামলা থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘মন্দা মুক্তি’ নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদ]
তবে নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথাও উঠে এসেছে অয়েনের মুখে। তবে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের মোকাবিলা করতে তাইওয়ানের সকলকে মতভেদ ভুলে একত্রিত হয়ে কাজ করতে ডাক দিয়েছেন তিনি। ওয়েন বলেছেন, “নানা বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই থাকবে। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বাইরে থেকে যতই চাপ আসুক না কেন, একসঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হবে।”
বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে চিন। স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে বেজিং। দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে তাইওয়ান সফরে যান মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। প্রকাশ্যে এই সফরের নিন্দা করে চিন। এমনকি, তাইওয়ানের সীমানায় ঢুকে সামরিক মহড়াও শুরু করে লালফৌজ। গোটা বিশ্বের কাছে নিন্দিত হলেও মহড়া থামায়নি চিন।