সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও উন্নতির পথে দেশের টেলিকম পরিষেবা। আসতে চলেছে 5G। এই সংক্রান্ত পরিষেবায় ট্রায়াল শুরুর সবুজ সংকেত দিল টেলিকম মন্ত্রক। ভারতী এয়ারটেল (Airtel), রিলায়েন্স জিও ইনফোকম (Jio), ভোডাফোন আইডিয়া এবং এমটিএনএল – এই কয়েকটি সংস্থাকে বলা হয়েছে, গ্রামীণ, মফস্বল এবং শহর এলাকায় এই ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিতে। এই ট্রায়াল শুরুর জন্য এরিকসন, নোকিয়া, স্যামসং, সি-ডট এবং রিলায়েন্স জিওর দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। ফলে আপাতত চিনা প্রযুক্তি ছাড়াই 5G চালু করতে চাইছে ভারত সরকার।
তবে চিনা প্রযুক্তিকে বাদ দেওয়া হলেও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডকে (BSNL) 5G ট্রায়ালের তালিকায় রাখা হয়নি। এমনিতে 4G স্পেক্ট্রামও দেওয়া হয়নি বিএসএনএলকে। তাই ক্রেতাদের চাহিদার দৌড়ে একদম পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে বিএসএনএল সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অনৈতিক ভাবে সুবিধা পাইয়ে দিতে বিএসএনএল-কে পিছন থেকে টেনে ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী সংস্থার এমন হাল যে কর্মীরা দীর্ঘদিন বেতনও পাননি। কিন্তু অনেকেই মনে করছিলেন 4G পরিষেবার সুযোগ না পেলেও হয়তো 5G-র হাত ধরে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বিএসএনএল। কিন্তু আপাতত সে সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে।
[আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার সম্ভাবনা ওড়াল নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা পেলেন রিটার্নিং অফিসার]
এদিকে, প্রথমে ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার তরফে যে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে চিনা কোম্পানি হুয়েইয়ের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু পরে সেই প্রস্তাব থেকে হুয়েইয়ের নাম সরিয়ে দেওয়া হয় দুই কোম্পানির তরফেই। বদলে এরিকসন, নোকিয়া, স্যামসং, সি-ডটের মতো কোম্পানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা বলা হয় কোম্পানিগুলির তরফে। অন্যদিকে, রিলায়েন্স জিওইনফোকম তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়েই এই ট্রায়াল শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন : বিজেপি নেতা তথাগতর ‘নগরীর নটী’ মন্তব্যে শ্রাবন্তীদের পাশে দাঁড়িয়ে জবাব নুসরত-শ্রীলেখার]
এর আগে কথা ওঠে টেলি কমিউনিকেশনে চিনা প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তার আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদের হতে পারে। যদিও চিনা কোম্পানিগুলির তরফে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়। তা হলেও এবার 5G প্রযুক্তিতে চিনা অনুপ্রবেশ রুখতেইবদ্ধপরিকর ভারত সরকার। ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রায়ালের জন্য ৬ মাস সময় দেওয়া হল। যার মধ্যে প্রথম ২ মাস সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং সেটআপ তৈরির সময় ধরা হয়েছে। তবে কবে থেকে পুরোদমে দেশে 5G পরিষেবা মিলবে, তা জানা যায়নি।