সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বৃহত্তম ডায়াগনস্টিক চেইন ডক্টর লাল প্যাথল্যাবসের (Dr Lal PathLabs) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেলবোর্নের এক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ স্যামি টইভনেনের দাবি, ডক্টর লাল প্যাথল্যাবস তাদের বিপুল সংখ্যক রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য প্রায় বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে এক পাবলিক সার্ভারে রেখে দিয়েছে। ফলে যে কেউই ওই তথ্য পেতে পারেন। ‘আমাজন ওয়েব সার্ভিসেসে’ রাখা ওই তথ্যগুলি কোনও পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিতও নয়। ফলে ওই তথ্য হাতিয়ে নিয়ে দুষ্কৃতীরা অনায়াসে যে কোনও জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করতে পারে। বিষয়টিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেন ওই বিশেষজ্ঞ।
তিনি জানাচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ রেকর্ডের মধ্যে এমনকী ২০১৯ সালের গোড়ার দিকের রোগীদের তথ্যও রয়েছে। এর মধ্যে এমন ৯ হাজার রোগীদের সন্ধান মিলেছে, যাঁদের নাম, লিঙ্গ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল থেকে শুরু করে চিকিৎসার বিবরণ, ডিজিটাল স্বাক্ষর সহ সব রকমের তথ্যই রয়েছে। সেই সঙ্গে বহু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মন্তব্যও রয়েছে। যেমন ওই রোগীর কোভিড-১৯ সংক্রমণ থাকার তথ্যও রাখা রয়েছে সেখানে। গত মাসে ডক্টর লাল প্যাথল্যাবসকে এবিষয়ে জানানো হলে দু’ঘণ্টার মধ্যে ওই তথ্যগুলি সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা! ‘ভিত্তিহীন টোটকা’ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তোপ IMA’র]
স্যামি টইভনেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এতদিন ধরে ওই সব তথ্য ইন্টারনেটে ওই ভাবে লভ্য থাকার ফলে এরই মধ্যে তা জালিয়াতদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে কিনা, তা জানা নেই। চিকিৎসার তথ্যের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে ইন্টারনেটের ডার্ক ওয়েবে। এই ধরনের তথ্য থেকে যে কোনও জালিয়াতি করা হতে পারে। স্যামি টইভনেনের আশঙ্কা, এই তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ডক্টর লাল প্যাথল্যাবসের নাম করেও নানা ভাবে প্রতারণা করার চেষ্টা করতে পারে জালিয়াতরা। ডক্টর লাল প্যাথল্যাবস অবশ্য দাবি করেছে, যে তথ্য রাখা ছিল তা মোট রেকর্ডের ০.৫ শতাংশও নয়। এবং খবর পাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়েও ফেলা হয়েছে।