অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: প্রায় দুদিনের সংকট কাটল। রবিবার বিকেল থেকে শিলিগুড়ি শহরে স্বাভাবিক হল জল সরবরাহ। এদিন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সাংবাদিক বৈঠক করে জলসংকট মেটার কথা শোনালেন। রবিবার বিকেল থেকে তিস্তার পরিশ্রুত জল ছাড়া হয়েছে। তাতেই তৃষ্ণা মিটবে বাসিন্দাদের। মহানন্দার জলে দূষণের জেরে দিন দুই আগে শিলিগুড়িতে (Siliguri) পানীয় জল নিয়ে প্রবল সমস্যা হয়েছিল। গ্রীষ্মের মরশুমে কার্যত হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। জলবণ্টনের দায়িত্বে থাকা পুরনিগমের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে নামেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। কথা দেন যে রবিবার বিকেল থেকেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেই কথা রাখলেন। শিলিগুড়িবাসী ফের পানীয় জল পাচ্ছেন আগের মতো।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম দেব (Goutam Deb) জানিয়েছেন, তিস্তার বাঁধ মেরামতির কাজ শেষের পথে। তাই শনিবার বিকেলে তিস্তা থেকে জল ছাড়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের সহায়তায় সেই পরিশ্রুত করে পানীয় জলে (Water) পরিণত করা হয়েছে। তবে নদী দূষণ যে শিলিগুড়ির একটা বড় সমস্যা, তা মেনে নিয়েছেন গৌতম দেব। তাঁর বক্তব্য, জলসংকটের সময় মহানন্দার জলকে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলেও তা করা যায়নি। নদী দূষণই (Pollution) তার অন্যতম কারণ। আর সেই কারণে মহানন্দা, ফুলেশ্বরীর মতো নদীগুলিকে দূষণমুক্ত করতে কাজ শুরু হবে বলে জানান মেয়র।
[আরও পড়ুন: ছাপিয়ে গেল মার্কিন নির্বাচনকেও, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভোট দেখল ভারত!]
এদিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE) ও সেচ দপ্তরের বৈঠক হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর জানিয়েছে, তিস্তা থেকে জল তুলে তা পরিশ্রুত করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ। পরিশোধিত জল এখন পানের যোগ্য হয়েছে। এই কাজের জন্য মেয়র গৌতম দেব পুরনিগমের সব কাউন্সিলরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অবদানের কথাও বলেন তিনি। এও জানান, শিলিগুড়িবাসী (Siliguri) যে তৃষ্ণার জল পাননি, তার কষ্ট অনুভব করেছেন তিনি নিজেও। আর তাই দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেছেন। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর জল দূষণের সমস্যা অনেকদিনের। এনিয়ে সতর্ক হয়নি পুরসভা। তাই এত বড় জলসংকট তৈরি হল।