শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বিকানের এক্সপ্রেসের (Bikaner Express) দুর্ঘটনার পর পেরিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আহত বহু। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল দুর্ঘটনার মুহূর্তে ? অভিজ্ঞতা জানালেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা বেজে ৩০ মিনিট নাগাদ কাজে যোগ দিয়েছিলেন বিকানের এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার। বিকেল ৫ টা নাগাদ ময়নাগুড়িতে ঘটেছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা এখনও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও ঘটনাস্থলেই রয়েছেন প্রদীপবাবু। দফায় দফায় তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। জানিয়েছেন অভিজ্ঞতা। তাঁর কথায়, “গাড়ি ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার স্পিডে ছিল। দোমোহনি ষ্টেশনে সবুজ সংকেত দেখেই ট্রেনটি চালাই। হঠাৎ অ্যাডভান্স সিগন্যালের আগে ঝাঁকুনি অনুভব করি। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষি। তখনই দেখি পিছনে বগি উলটে গিয়েছে। কীভাবে হল বুঝতেই পারলাম না। রেল ট্র্যাকের সমস্যার জন্যই এমন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে আমার।” দুর্ঘটনার আতঙ্ক এখনও তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট। ভয় এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বিকানের এক্সপ্রেসের যাত্রীদেরও।
[আরও পড়ুন: COVID-19: সংকটজনক কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি স্বাস্থ্যদপ্তরের, বদল নিয়মেও]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্ঘটনার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে নানাভাবে উদ্ধারকাজে হাত লাগান সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব সকলেই হাজির হন দুর্ঘটনাস্থলে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সরকারি সূত্র অনুযায়ী ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিকে রেলট্র্যাক থেকে সরানোর কাজ করছে রেলের উদ্ধারকারী দল। ওই লাইন দিয়ে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও চলছে কাজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।