সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো ফোন, উড়ো ফোনের ঘটনা তো অনেক ঘটে। এই ঘটনা তেমন ঝামেলার না বরং মজার। হরিয়ানায় (Haryana) এক মদ্যপ ব্যক্তি মধ্যরাতে পুলিশের এমারজেন্সি নম্বরে ফোন করে বসলেন। কেন? যেহেতু তিনি যাচাই করতে চাইছিলেন, বিপদে পড়লে সত্যিই কি বাঁচাতে আসে পুলিশ! স্বভাবতই পুলিশের বিষয়টি জানা ছিল না। তারা ফোন বলা ঠিকানায় পৌঁছে জানতে পারে ঘটনা। এবং বেজায় বিরক্ত হয়। বুঝিয়ে দেয়, অকারণে ফোন করলে শাস্তি পেতে হবে। অন্যদিকে নরেশের কাণ্ড ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এক পুলিশ আধিকারিক। যা ভাইরাল হয়েছে।
অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন পঞ্চকুলার রাইপুররানি এলাকার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের নরেশ কুমার। মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তির হঠাৎ খেয়াল হয়, এমারজেন্সি নম্বরে ফোন করলে পুলিশ সত্যিই বাঁচাতে আসে কিনা, তা তিনি একবার পরীক্ষা করে দেখবেন। সেই মতো ১১২ নম্বরে ডায়াল করেন নরেশ। এদিকে ফোন পেয়ে দ্রুত রাইপুররানির তাপ্রিয়া গ্রামে হাজির হয় পুলিশ। যদিও নরেশ পুলিশকে জানায়, তেমন কিছুই ঘটেনি। আসলে সে যাচাই করতে চেয়েছিল, ফোন করলে পুলিশ সত্যিই আসে কিনা। ঘটনাটি রেকর্ড করেন এক পুলিশ অধিকারিক। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হল ভাইরাল হয়।
[আরও পড়ুন: OMG! জলে ডুবে নিশ্চিহ্ন হয়েছিল স্পেনের এই গ্রাম, ভেসে উঠল তিন দশক পর]
হরিয়ানা পুলিশের আধিকারিক পঙ্কজ নয়ণ মজার ভিডিওটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওর সঙ্গে ক্যাপশানে পঙ্কজ লেখেন, “মদ্যপানের পর জনতার মনে পড়েছে পুলিশকে। দু’দিন ধরে এলাকায় পুলিশের গাড়ি দেখা না পেয়ে ১১২ নম্বরে ফোন করে ডাকা হয়।”
[আরও পড়ুন: মোদির সুরক্ষার দোহাই দিয়ে উড়ান বাতিল, ‘আমি উগ্রপন্থী নই’, ক্ষোভপ্রকাশ চান্নির]
ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুলিশ নরেশকে প্রশ্ন করছে, কেন ডেকেছেন? উত্তরে এলোমেলো কথা বলতে দেখা যায় মদ্যপ নরেশকে। তিনি বলেন, “সন্ধে পাঁচটার ট্রেন আসেনি। আমি রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। কিন্তু কোনও গাড়িও দেখিনি। সেই কারণেই ফোন করে দেখছিলাম পুলিশ আদৌ কাজ করছে কিনা।” স্বভাবতই নরেশের উত্তর তাজ্জব বনে যায় পুলিশ।