সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: নিখোঁজের প্রায় ১৫ ঘন্টা পর অবশেষে সন্ধান মিলল ডিএসপির আধিকারিকের। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। উদ্ধার হল ডিএসপির আরএমএইচপি বিভাগের জিএম (অপারেশন) সমিত ভট্টাচার্যের নিথর দেহ। শনিবার নাইট শিফট চলাকালীন জংশন ২৫ বাংকারের লিফটের নিচ থেকে আনুমানিক রাত ২টো ৫০ মিনিটে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে। রুটিন পরিদর্শনে গিয়ে অন্য এক আধিকারিকের চোখে পড়ে দেহটি।
পুলিশে খবর দেওয়া হলে ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। কীভাবে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটল তা নিয়ে সিআইএসএফ, পুলিশ ও ডিএসপিও নিজের মতো করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। দেহটি লিফটের নিচে কি করে গেল তা নিয়েও রয়েছে রহস্য। এদিকে, পুলিশ দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ডিআইসি (ডিরেক্টর ইন চার্জ) বি পি সিং-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সমিত ভট্টাচার্য নামে ওই আধিকারিক কারখানার মেটেরিয়াল হ্যান্ডেলিং প্ল্যান্ট (RMHP) বিভাগে জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) পদে কর্মরত ছিলেন।
স্ত্রীর সঙ্গে নিহত দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট আধিকারিক
শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ প্রতিদিনের মতো তিনি কারখানায় কাজে যোগ দেন। কিন্তু কারখানায় ঢোকার পর থেকেই তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে. সমিতবাবুর গাড়ি থেকে শুরু করে ব্যাগপত্র, খাবারদাবার সবই কারখানায় রয়ে গিয়েছে। সমিতবাবুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোনটি ক্রমাগত বেজে গেলেও সেটি কেউ ধরছেন না। ঘটনার খবর চাউড় হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শ্রমিক মহলে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে মিসিং ডায়েরি করা হয়। পুলিশ কুকুর এনে সমিতবাবুর জিনিসপত্র শুঁকিয়ে তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। সমিত ভট্টাচার্য সিটি সেন্টারের সেইল কো-অপারেটিভের বাঘাযতীন পথের বাসিন্দা। স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় সমিতবাবুর পরিবার-সহ কারখানার শ্রমিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।