রাজা দাস, বালুরঘাট: বন্ধ কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহযোগিতা। তার ফলে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন কৃষকরা। বর্ষশেষে কার্যত হতাশার ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যান পালন বিভাগে।
কৃষিপ্রধান জেলা হিসাবেই পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর। ধান, গম, পাট, সর্ষে, আলু, নানা সবজি চাষ হয় উত্তরবঙ্গের এই জেলায়। বছর কয়েক আগে শীতপ্রধান এলাকার অন্যতম ফুল গ্ল্যাডিওলাস চাষ করে নয়া দিশা পান এই জেলার একাংশ কৃষক। বেশি বেশি করে এই ফুল চাষে উৎসাহও দেয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যান পালন বিভাগ। বছর তিনেক আগে তা নিয়ে প্রচারও হয় যথেষ্ট।
[আরও পড়ুন: হানিমুনে গিয়ে সেলফি তোলাই কাল! বিয়ের ২০ দিনের মাথায় মৃত্যু নববধূর]
তার পরই বালুরঘাটের চকহরিণা, গঙ্গাসাগর, পতিরাম, হিলি, গঙ্গারামপুর, তপন, কুশমণ্ডি মিলিয়ে আটটি ব্লকেই কমবেশি এই চাষ শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় আর্থিক সাহায্য দেওয়া শুরু হয় উৎসাহী কৃষকদের। এক বিঘা জমিতে যাঁরা এই ফুল চাষ করেন তাঁদের ৭ হাজার ৯২০ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়। বীজ, সার, জল, শ্রমিক ও মজুরি জন্য এই টাকা দেওয়া হয়। কিন্ত মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় আর্থিক সাহায্য। তার ফলে ফুল চাষে উৎসাহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।
সত্যজিৎ পাল নামে এক কৃষক জানান, “উদ্যান পালন দপ্তর থেকে এসে আমাদের পরীক্ষামূলকভাবে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ করতে বলা হয়েছিল। এর পরেই আমরা এই ফুল চাষ করছিলাম। আর্থিক সহায়তা মিলছিল। কিন্ত পরেরবার থেকে এক পয়সাও পাওয়া যায়নি। তাই আবার আমরা গতানুগতিক চাষের দিকেই ঝুঁকেছি।”
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক ডঃ রণজয় দত্ত জানান, “এই মূহূর্তে আমরা শুধুমাত্র গাঁদাফুল চাষে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। অন্য ক্ষেত্রে আমাদের কাছে আর্থিক সহায়তার অনুদান নেই। এই প্রকল্প কেন্দ্র সরকারের। সেই টাকা রাজ্যের মাধ্যমে জেলাতে টাকা আসে। এর পর আমরা তা কাজে লাগিয়ে থাকি। কিন্ত কেন্দ্রের তরফে এই নিয়ে গত দুবছর কোনও অনুদান আসেনি।” তবে কেন্দ্র কী কারণে এই খাতে বরাদ্দ বন্ধ করল, তা জানা নেই কারও।