shono
Advertisement

দমদম শুটআউটে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য, সন্দেহভাজন বাচ্চুর খোঁজে তদন্তকারীরা

রাজনৈতিক যোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা৷
Posted: 10:56 AM Dec 29, 2018Updated: 11:08 AM Dec 29, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দমদম গোরাবাজার শুটআউট কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ খুনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে উঠে এসেছে ওই এলাকায় সমাজবিরোধী বাচ্চু দাসের নাম৷ এবার তারই খোঁজ শুরু করেছে দমদম থানার তদন্তকারীরা অফিসাররা৷ সূত্রের খবর, একটি গুমটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দিনকয়েক আগেই মৃত গণেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল এই বাচ্চু৷ ঝামেলার সময় মেরে গণেশের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল সে৷ দমদম থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল অভিযোগ৷ এই খুনের ঘটনা নেপথ্যে সেই বিবাদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ ফলে এখনই বাচ্চুকে হাতে পেতে চাইছেন তাঁরা৷ তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাচ্চু দাস৷ ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ৷

Advertisement

[ভুল তথ্য দিয়ে জামিনের আবেদন, গোটা পরিবারকে জেলে ভরার নির্দেশ আদালতের]

এছাড়া তদন্তে উঠে আসছে আরও কিছু তথ্য৷ মৃত গণেশ কুণ্ডুর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ফোন করে তাঁর স্বামীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল৷ কে বা কারা সেই অভিযোগ করেছিলেন তাও তদন্ত করে দেখছেন অফিসাররা৷ এছাড়া পুলিশ জানতে পেরেছে, পেশায় ডেকরেটরস কর্মী মৃত গণেশ দাস দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলের খুব ঘনিষ্ট৷ কয়েকদিন আগে একটি বিয়ের বাড়ির খাবারের মান নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিবাদ বেধেছিল কয়েকজনের৷ সূত্রের খবর, তাঁরাও এক তৃণমূল নেতার অনুগামী৷ ঝামেলার সময় পরস্পর পরস্পরকে দেখে নেওয়ারও হুমকিও দেয়৷ এই ঘটনার সঙ্গে সেই বিবাদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা পাশাপাশি তাও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা৷ এমনকী, এই খুনের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না দমদম থানার পুলিশ আধিকারিকরা৷

[উৎসবের মরশুমে শহরে মধুচক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেপ্তার ৭]

শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় দমদম গোরাবাজারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ডেকরেটর্স কর্মী গণেশ কুণ্ডুকে৷ ঘটনার বিবরণে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় দোকানের মধ্যে কাজ করছিলেন গণেশ৷ মাফলারে মুখ ঢাকা অবস্থায় দুই দুষ্কৃতী এসে গণেশের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মিউনিসিপাল হাসপাতালে৷ তারপর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে গণেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ দমদম থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমন বড়সড় হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ ও প্রশাসনের উপর৷ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকেই এলাকার আশপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশ সূত্রের খবর, একটি দোকানের সিসিটিভিতে দুষ্কৃতীদের দেখতে পেয়েছেন তাঁরা৷ কিন্তু তাঁদের বাইকের নম্বর প্লেটের ছবি ধরা পড়েনি সেই সিসিটিভি ফুটেজে৷ শুক্রবারের ঘটনার পর শনিবার সকালেও এলাকায় বজায় রয়েছে আতঙ্কের রেশ৷ দোকানপাট অল্পবিস্তর খুললেও, মানুষের চোখেমুখে রয়ে গিয়েছে শুক্রবারের ঘটনার আতঙ্কের ছাপ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement