সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দমদমের গোরাবাজারের শুটআউট কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বাচ্চু দাস-সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধৃতদের জেরা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা৷ পেশায় ডেকরেটর্স কর্মী গণেশ কুণ্ডুকে কেন খুন করা হল? খুনের পিছনে কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল? ধৃতদের কাছ থেকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷
[বছরের শুরুতেই শহরে খুন, এন্টালিতে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ]
সূত্রের খবর, ধৃতদের ফোন এবং ব্যাংকে লেনদেনের রেকর্ড ট্র্যাক করে তাদের সুন্দরবনে লুকিয়ে থাকার তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারীরা৷ যোগাযোগ করা হয় সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে৷ তাঁদের সহায়তায় বাচ্চু ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, সুন্দরবন থেকে চোরাপথে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের৷ কিন্ত পুলিশের তৎপরতায় সেই ছক ভেস্তে যায়৷ বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হতে পারে৷
[কলকাতার ২২-৩০ বছরের মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ধূমপানের প্রবণতা]
গত শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় দমদমের গোরাবাজারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ডেকরেটর্স কর্মী গণেশ কুণ্ডুকে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় দোকানের মধ্যে কাজ করছিলেন গণেশ৷ মাফলারে মুখ ঢাকা অবস্থায় দুই দুষ্কৃতী এসে গণেশের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ দমদম থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমন শুটআউটের ঘটনা ঘটে যাওয়ায়, এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকায় সমাজবিরোধী হিসাবে পরিচিত বাচ্চু দাসের সঙ্গে কয়েকদিন আগেই ঝামেলা হয়েছিল গণেশ কুণ্ডুর৷ এই খুনের ঘটনার পর থেকে বাচ্চুরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না৷ ফলে পুলিশের সন্দেহ আরও পোক্ত হয়৷ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারী দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা৷ পাশাপাশি, গণেশের ফোন নম্বর ও ব্যাংকের লেনদেনের উপরও নজর রাখছিল পুলিশ৷ সেখান থেকেই গণেশের সুন্দরবনে লুকিয়ে থাকার তথ্য পাওয়া যায়৷ অবশেষে গোপন অভিযানে গণেশ-সহ আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷