সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সচেতনতা, প্রচার থেকে কঠোর শাস্তি, কোনও কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না র্যাগিং 'রোগে'। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে এবার হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রথম বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়া। সিনিয়র দাদাদের নির্দেশে ৩০০বার ওঠবোস করতে বাধ্য করা হয় ওই পড়ুয়াকে। যার জেরে কিডনিতে সংক্রমণ হয়ে যায় ওই ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে ডুঙ্গরপুর মেডিক্যাল কলেজে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ মে ঘটে এই ঘটনা। র্যাগিংয়ের উদ্দেশে প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়াকে টার্গেট করে দ্বিতীয় বর্ষের ৭ পড়ুয়া। কলেজের ভেতরেই এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ৩০০ বার ওঠবোস করানো হয়। এই ঘটনার জেরে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর আকার নিলে রাজস্থান থেকে ওই পড়ুয়াকে গুজরাটে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার। এর পর আহমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, সভাপতি নির্বাচনের আগে নিচুতলার পরামর্শ চায় বিজেপি]
জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ সেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই পড়ুয়া। কিডনিতে সংক্রমণের জেরে গত ৭ দিনে ৪ বার ডায়ালিসিস করাতে হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার কথা জানতে পারার পর অভিযুক্ত ৭ ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। তদন্তে ওই ৭ পড়ুয়ার অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর কলেজের অধ্যক্ষকে রিপোর্ট দেয় সেই কমিটি। এর পর কলেজের অধ্যক্ষ দ্বিতীয় বর্ষের অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। সেই মতো পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘আরও কাছাকাছি…’, হাতে হাত, আলিঙ্গন! সংসদে ক্যামেরাবন্দি কঙ্গনা-চিরাগের ‘ব্লকবাস্টার’ দৃশ্য]
কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও অভিযুক্ত পড়ুয়ারা র্যাগিং করেছিল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে। তবে সেই সময় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি ছাত্রটি। গত মাসে ফের নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২০ জুন কলেজ প্রশাসন অনলাইনে ওই পড়ুয়ার তরফে অভিযোগ পায়। এর পরই তদন্ত শুরু হয়। চিকিৎসার পর ফের কলেজে যোগ দিয়েছেন আক্রান্ত পড়ুয়া। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের তরফে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।