সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। গতবারও ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এবারও কি যুবভারতীতে সাফল্য আসবে মোলিনার দলে? বুক বাঁধছেন সমর্থকরা। অন্যদিকে প্রথমবার কোনও টুর্নামেন্ট জয়ের সুযোগ নর্থ ইস্টের কাছে। দুদলের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে, সেটা তো সময় বলবে। কিন্তু ফুটবলভক্তরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নদের দেওয়া হয় তিনটি ট্রফি। কেন এই সিদ্ধান্ত?
তার জন্য ফিরে তাকাতে হবে ডুরান্ডের ইতিহাসের দিকে। ১৮৮৮ সালে চালু হয় এই টুর্নামেন্ট। যার নামকরণ হয়েছে ভারতের তৎকালীন বিদেশ সচিব স্যর হেনরি মর্টিমার ডুরান্ডের নামে। বর্তমানে এই টুর্নামেন্ট এশিয়ার প্রাচীনতম। এবং ইতিহাসের বিচারে পৃথিবীর পঞ্চম পুরনো প্রতিযোগিতা। পরাধীন দেশের সময় পার করে এসে এবার ১৩৩তম বছরে পা দিয়েছে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2024)।
[আরও পড়ুন: ‘আপনাদের মেয়ে সঙ্গে আছে’, শম্ভু সীমান্তে কৃষকদের অবস্থানে যোগ দিয়ে বক্তব্য ভিনেশের]
ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্টে দেওয়া হয় তিনটি ট্রফি। যেগুলি হল, ডুরান্ড কাপ, শিমলা ট্রফি ও প্রেসিডেন্টস কাপ। এর মধ্যে প্রথম ট্রফিটিই আসল। যার ডাকনাম 'মাস্টারপিস'। ১৯৬৫ সাল থেকে দেওয়া হয় এই ট্রফি। যদিও ডুরান্ডের যাত্রা শুরু শিমলায়। ১৮৮৮ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত শিমলাতেই নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হত এই টুর্নামেন্ট। পরে তা দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯০৪ সালে প্রথম দেওয়া হয় শিমলা কাপ। যার ডাকনাম 'দ্য আর্টিস্ট্রি'। তার পর থেকে সেটিও ডুরান্ড কাপের সম্মান বাড়িয়ে চলেছে।
[আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে ডাক পেলেন দ্রাবিড়পুত্র সমিত]
তৃতীয় কাপটির নাম প্রেসিডেন্টস কাপ। অশোক স্তম্ভ দিয়ে সজ্জিত এর ডাকনাম 'দ্য প্রাইড'। স্বাধীনতার পূর্বে এর নাম ছিল ভাইসরয় ট্রফি। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদের সময় এর নতুন নামকরণ হয়। এবার কার হাতে উঠবে ডুরান্ডের ট্রফি? অপেক্ষা আর কিছুক্ষণের।