সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বাজি ধরেনি। তবুও সবাইকে চমকে দিয়ে মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আট ম্যাচ পর ডার্বি (Derby) জয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল-হলুদ। টানা নবম ডার্বি জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছিল সবুজ-মেরুনের। সেই হারের বদলা কি ফাইনালে সুদে-আসলে তুলবে মোহনবাগান (Mohun Bagan)? এমন প্রেক্ষাপটে মহারণের আগে বড় মন্তব্য করে দিলেন লাল-হলুদের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)।
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই কার্লেস বলেন, “প্রথম ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করেছিলাম। পরের ম্যাচ ছিল ডার্বি। আমরা জিতেছিলাম। তারপরেই টিমের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। এবং সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই ফাইনালে খেলতে নামব। মোহনবাগান শক্তিশালী দল। সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমাদের তো কিছুই হারানোর নেই। তাই আমরা খোলা মনেই খেলতে নামব।”
[আরও পড়ুন: ৩-০ স্কোরলাইনে ফাইনাল জিতবে কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল, দাবি ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের]
তবে তাই বলে জুয়ান ফেরান্দোর দলকে খাটো করতে রাজি নন কুয়াদ্রাত। তিনি যোগ করেন, “ওরা এএফসি কাপ খেলছে। নেপাল, বাংলাদেশ এমনকি ভারতের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে। মুম্বই এফসিকেও হারিয়েছে। বাগানও নিশ্চিত ভাবে ফাইনালের জন্য তৈরি হচ্ছে। ডার্বি ফাইনাল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মোহনবাগান পর পর দু’টো ম্যাচ হারতে চাইবে না। আমাদের পয়লা মিনিট থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”
ম্যাচ নিয়ে কী পরিকল্পনা, সেটাও কুয়াদ্রাত পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ফুটবলারদের বিশেষ বার্তা দিয়ে তিনি ফের বলেন, “৯০ মিনিট খেলতে হবে। তার পর টাইব্রেকার। কেউই পেনাল্টিতে যেতে চাইব না। ওরা নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করতে চাইবে। আমরাও সেটাই চাইব। এটা পরিষ্কার যে আমাদের জেতাই মূল লক্ষ্য। টিমে অনেক নতুন প্লেয়ার। কঠিন সময় পেরিয়ে ফাইনালে উঠেছি। এ বার ট্রফি জিততেই হবে।”
[আরও পড়ুন: হাহাকার-কালোবাজারির মধ্যে দুই দলের সমর্থকদের স্লোগান, ‘ঘটি-বাঙাল ভাই-ভাই, টিকিট চাই-টিকিট চাই’]
তবে লাল-হলুদকে নিয়ে সবাই আশা দেখলেও দলের তিন ফুটবলার চোট ও ফিটনেসের অভাবে ভুগছেন। ক্লেটন সিলভা, সৌভিক চক্রবর্তী ও পারদোকে নিয়ে তাঁর চিন্তায় স্প্যানিশ কোচ। কার্লেস শেষে বলেন, “ক্লেটন, পারদো পুরো ফিট নয়। তবুও এই ফাইনালের জন্য আমরা মানসিক ভাবে তৈরি। সেটাই কিন্তু আসল।”
কলকাতায় পা রেখেই প্রথম ডার্বি জিতেছিলেন। সেই জয়ের ধারাবাহিকতা কি এবারও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বজায় রাখতে পারবেন কুয়াদ্রাত? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।