বাবুল হক, মালদহ: গণেশ পুজো নিয়ে এবার বিতর্ক শুরু হল মালদহে (Maldah)। হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি পুজোয় দেখা গেল, খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দুর্গারূপে গড়া হয়েছে। আর তার কোলে বসানো হয়েছে গণেশকে। মণ্ডপ শয্যা ও প্রতিমা নির্মাণে অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকলেও এহেন প্রতিমা গড়ে বিতর্কের মুখে পড়ল জাগরণ সংঘ ক্লাব।
এ বছরই প্রথম গণেশ পুজোর আয়োজন করল হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরণ সংঘ ক্লাব। আর প্রথমবারেই বিতর্কে জড়াল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাদের মণ্ডপে গিয়ে দেখা গেল, দশভুজা মূর্তি বানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের আদলে। নীল-সাদা শাড়ি পরা প্রতিমার দশ হাতে ‘কন্যাশ্রী’, ‘সবুজ সাথী’, ‘রূপশ্রী’, ‘সমব্যাথী’র মতো বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের ছবি। এবং তার কোলে দুর্গার পুত্র গণেশকে বসিয়ে চলছে গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi)পুজো। এহেন প্রতিমা যদিও দর্শনার্থীদের বেশ পছন্দ হয়েছে। তাঁরা বেশ উৎসাহী।
[আরও পড়ুন: বর্ধমানের বাস স্টপেজে পড়ে যুবতীর রক্তাক্ত দেহ, ধর্ষণ করে খুন? তদন্তে পুলিশ]
তবে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে ক্লাবের সদস্যরা জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজকর্মে অনুপ্রাণিত। তাই তাঁকে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতেই এই থিম বেছে নিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) জেলা সাধারণ সম্পাদক ও ক্লাব সম্পাদক বুলবুল খান জানান, ”আমাদের এই ক্লাব তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবী দুর্গার মতো আমাদের পশ্চিমবঙ্গবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জনকল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে ধনী, দরিদ্র – সব মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন। তা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশভুজা দুর্গার মতো রক্ষা করে চলেছে। আর নেতৃত্বে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁকে দেবী দুর্গার মতো রূপ দেওয়া হয়েছে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।” শুক্রবার ক্লাবের প্রথম গণেশ পুজো উদ্বোধন করতে আসেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোটপ্রচারে যাচ্ছেন না Mamata Banerjee]
বিজেপি অবশ্য এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। জেলা বিজেপির (BJP) সম্পাদক কিসান কেডিয়ার মত, ‘‘দেবী দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। এটা হয়ত মুখ্যমন্ত্রীও সমর্থন করবেন না। বিষয়টি ভাল চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ।’’ তবে এসব উড়িয়ে ক্লাবকর্তারা বলছেন, দর্শনার্থীদের যে ভাল লেগেছে, সেটাই তাদের পাওনা।