স্টাফ রিপোর্টার: ঠাকুর বরণ থেকে ঢাকের তালে নাচ। উলু-শঙ্খের ধ্বনি। দশমীর কোলাকুলি। দুর্গা বিসর্জনের কার্নিভ্যালে দশভুজাকে নিয়ে টেমসের বুকে ঘুরল সুসজ্জিত বোট। যা নদীর ধারে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখলেন হাজার হাজার প্রবাসী বাঙালি। মুগ্ধ হয়ে বাংলার সংস্কৃতি পরখ করলেন বহু বিদেশিও। দুর্গা কার্নিভ্যালের (Durga Carnival) দৌলতে একদিনের জন্য টেমস (Thames) হয়ে উঠল গঙ্গা।
কলকাতা কার্নিভালের দিনই লন্ডনেও (London) এবার প্রথম হয়ে গেল দুর্গাপুজোর বিসর্জনের কার্নিভ্যাল। বোটে করে দুর্গাপ্রতিমা ঘোরানো হল বিলেতের নদীতে। তবে বিসর্জন এখানে হয়নি। দশমীর পর শোভাযাত্রা শেষে ফের ফিরিয়ে আনা হয় প্রতিমা পরের বারের পুজোর জন্য।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যাবেন না, নাগরিকদের সতর্ক করে বার্তা ভারতীয় দূতাবাসের]
‘দুর্গা প্যারেড অন টেমস’। এদিন বিকেলে টেমসের কোল যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো কলকাতা। হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবালের (Heritage Bengal Global) উদ্যোগে এবার এখানে হয়ে গেল দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল। যেখানে অংশ নিয়েছিল বিলেতের কয়েকটি পুজো। ক্যামডেনের প্রতিমা ছাড়াও বার্মিংহাম, পিটারবার্গের পুজো কমিটিও এই কার্নিভালে ছিল। তাছাড়াও বোট সাজানো হয়েছিল, কলকাতার ৭৫ পল্লি, বাগবাজারের প্রতিমার কাট আউট দিয়ে। দুটি বোটে ছিলেন প্রচুর প্রবাসী বাঙালি। তাঁরাই নাচলেন ঢাকের তালে।
ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের (Westminster Bridge) কাছ থেকে সুসজ্জিত বোটগুলো ছাড়ে। তারপর তা ঘোরে। টেমসের পাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা দেখেন বিলেতের পুজোর কার্নিভ্যাল। অনুষ্ঠান শেষে উদ্যোক্তারা জানান, এটা প্রথম বছর ছিল। তাই হয়তো কিছুটা ছোট করেই হল এই শোভাযাত্রা। তবে আগামী বছর আরও বড় করে হবে দুর্গা কার্নিভ্যাল। এখানকার মানুষের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ রয়েছে এই পুজো ঘিরে।
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন দেশের করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত দু’হাজারেরও কম]
উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, লন্ডন এবং কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতেই এবছর থেকে তাঁদের এই প্রচেষ্টা। হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবালের ডিরেক্টর অনির্বাণ কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুব সুন্দর হয়েছে এখানকার দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল। ইতিমধ্যেই পরের বছরের জন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানকার প্রবাসী বাঙালিরা খুব আনন্দ পেয়েছেন কার্নিভ্যাল দেখে।’’