সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টিবাদলা থেমে ভাদ্র মাসে ঝলমলে রোদ উঠলেই কেমন যেন দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। আর কিছুদিন পরই তো পুজো। বছরে একবার ঘরে ফিরছে বাঙালির ঘরের মেয়ে উমা। তাঁর আগমনে ঘরদোরে নতুনত্বের ছোঁয়া তো থাকবেই। পুজোর সময়ে তাই অনেকেই বদলে ফেলেন গৃহসজ্জা (Home Decor)। শোয়ার ঘর থেকে বসার ঘর, এক নিমেষে বদলে যায় চেহারা। শারদোৎসবের আমেজ যাতে ঘরে বসেই পাওয়া যায়, তাই অনেকেই নানা পরিকল্পনা করে সামান্য সামগ্রী দিয়েই ঘর করে তোলেন নতুনের মতো। বিছানার চাদর, ঘরের পর্দা, শো-পিস - সবেতেই যেন দেবী আগমনের মাঙ্গলিক চিহ্ন। সেভাবেই ঘর সাজানোর সহজ কিছু টিপস রইল আপনার জন্য।
পুজোর ছুটি মানেই আড্ডা। বন্ধুবান্ধবদের যাতায়াত লেগেই থাকে। ড্রয়িং রুমে (Drawing Room) হইহুল্লোড়। তাই বসার ঘর সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা আবশ্য়ক। সোফা, কার্পেট নতুন তো থাকছেই। সঙ্গে যদি একটা দেবদেবীর মূর্তিও রাখা যায়, ঘরটাই যেন বদলে যায়। পুজোর আবহ টের পাওয়া যায় বেশ।
শোয়ার ঘর কিংবা মাঝের ঘরের বিছানার জন্য বড় ফুল ছাপ প্রিন্ট কিংবা অ্যাপ্লিকের বেডশিট মানানসই। কোন রঙের চাদর বাছবেন, তা নির্ভর করছে আপনার আসবাবের রঙের সঙ্গে। যদি হালকা রঙের আসবাব থাকে ঘরে, তাহলে সামঞ্জস্য রেখে গাঢ় রঙের বেডকভার বা বেডশিট বেছে নিন। আর যদি ফার্নিচারে বার্নিশের আধিক্য থাকে, তবে হালকা জ্যামিতিক প্রিন্টের (Geometric Print) চাদর সুন্দর দেখাবে।
উৎসবের দিনগুলোয় বিশ্রাম নেওয়ার সময় তেমন থাকে না। সারাদিন ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর রাতুটুকু ঘুমিয়ে কাটানো। এটুকু সময়ের জন্য শোয়ার ঘরটুকু যদি সুসজ্জিত না থাকে, তাহলে আরাম করে নিদ্রা কখনওই সম্ভব নয়। পুজোর দিনগুলোয় তাই শোয়ার ঘরের সজ্জাতেও নজর দিতে হবে। নরম আলো, পর্দা ও মানানসই বিছানার চাদরে সাজিয়ে রাখুন ঘর। দিনশেষে এমনিই তা আপনাকে কাছে টানবে।
[আরও পড়ুন: পুজোর পরই নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের! রুটিন মেনে জেলায় জেলায় যাবেন রাজ্য নেতারা]
ঘর যদি একটু ছোট হয়, অর্থাৎ পড়ার ঘর কিংবা একজনের থাকার মতো সিঙ্গল রুম, তাহলে তার সজ্জা কিন্তু হবে অন্যরকম। ছোট খাটের বেডকভার কিনতে গেলে মাথায় রাখতে হবে, প্রিন্ট ছোট ছোট হওয়া চাই। নইলে কিন্তু উৎসবের দিনগুলো ঘর সাজাতে গিয়ে উলটে সব মাটি হতে পারে। তবে বেডকভার বা বেডশিটের রং গাঢ় - যা খুশি হতে পারে। পড়ার টেবিলে নতুন উপকরণ হিসেবে যোগ হতে পারে সরস্বতী মূর্তি, যা বিদ্য়ার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
পুজোর দিনগুলোয় ঠাকুরঘরের সজ্জার দিকে বিশেষ নজর থাকে বাড়ির গৃহিণীদের। তাই এই চার, পাঁচদিন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুন ঠাকুরঘর। সিংহাসনে চাঁদমালা, শৌখিন ঘণ্টা কিংবা ছোট ছোট আলো দিয়ে হালকা সাজ হতেই পারে।
আসল কথা, বছরের এই একটা সময়েই খুব বিশেষ বাঙালি জীবনে। তাই পুজোর দিনগুলোয় ঘরদোর সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে যদি একটু সময় লেগেই থাকে, তাহলে সেটুকু তো দেওয়া যেতেই পারে। তবেই তো উৎসবের আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠবে আপনার অন্দর, অন্তরও।