গৌতম ব্রহ্ম: থিম পুজোর (Theme) হাত ধরেই পুজোর গান হয়ে উঠেছে পুজোর আবহ। কবীর সুমন, নচিকেতা, শ্রীকান্ত আচার্য, শিলাজিৎ, রূপঙ্কর, অনুপম রায়, তিমির বিশ্বাস, লগ্নজিতা, ইমন চক্রবর্তী – প্রত্যেকেই আবহশিল্পী হিসাবে পুজোর অংশীদার হয়েছেন। এঁদের গাওয়া পুজোর (Durga Puja) আবহ আটকা পড়েছে ‘দুগ্গা দুগ্গা’ চ্যানেলে। আর্কাইভ হওয়া গানগুলি জনতার দরবারে কতটা সমাদৃত হচ্ছে, কত ‘ভিউ’ হচ্ছে, লাইক পাচ্ছে, তার ভিত্তিতেই বেছে নেওয়া হয় সেরা আবহগুলি। দেওয়া হয় ‘আবহমান অ্যাওয়ার্ড’। এবারও হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছ’টায় ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালের ‘আবহমান অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হবে, ক্লাবগুলির হাতে।
‘সংবাদ প্রতিদিন’ (Sangbad Pratidin) নিবেদিত ‘দুগ্গা দুগ্গা’ আর্কাইভ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রধান সহযোগী ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাঘাযতীন তরুণ সংঘ, মা দুর্গা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বাঘাযতীন (Baghajatin) তরুণ সংঘের পুজোর মাঠ, দেবালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই বিজয়ীদের হাতে ‘আবহমান অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হবে। সঙ্গে চলবে পুজোপাগলদের তর্ক-বিতর্ক, দেদার আড্ডা। আড্ডার বিষয়: ‘সপ্তমীতেই পুজো শেষ!’
[আরও পড়ুন: ভোটে জিততে ভরসা মমতা মডেলই! ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র প্রতিশ্রুতি ছত্তিশগড় বিজেপি-কংগ্রেসের]
অতিরিক্ত পুরস্কারকেন্দ্রিকতাই কি এর কারণ? নাকি অন্য কিছু? তুফান উঠবে আবহমান আড্ডায়। অংশ নেবে পুজোর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষই। থিমশিল্পীদের পক্ষে অনির্বাণ, পুজো বিচারকদের তরফে চিত্রশিল্পী অধ্যাপক শমীন্দ্রনাথ মজুমদার। থাকছেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সভাপতি কাজল সরকার, বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ যাদব সেন, পুজো সংগঠক গৌতম ঘোষ। পুরোহিতদের প্রতিনিধি হিসাবে থাকছেন সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আড্ডা পরিচালনায় ড. দেবদূত ঘোষ ঠাকুর। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সুলয়া সিংহ ও চৈতালি বকসি। থাকছে তরুণ সংঘের নৃত্যানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন পুজোর সঙ্গে যুক্ত আরও অনেক মানুষ। শিল্পী, কর্মকর্তা সবাই। আমন্ত্রণ অবাধ।
[আরও পড়ুন: ঘনীভূত নিম্নচাপ, ভাইফোঁটায় বৃষ্টি-কাঁটা? কী বলছে হাওয়া অফিস?]
প্রতি বছরই আর্কাইভ হওয়া সেরা দশ আবহকে বেছে নেওয়া হয়। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর সদস্য হলেই এখানে গান পাঠানো যায়। এই প্রথম পুজো আবহ একই প্লাটফর্মে এনে আর্কাইভ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা ফোক ব্যান্ড ‘জোয়ার’। করোনার জন্য ছন্দপতন হলেও গান আর্কাইভ করার কাজ চলেছে। তবে, ২০২০ সালে কম আবহ জমা পড়ায় দশটির বদলে ন’টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। সেরা দশের মধ্যে দু’টি পুজোকে আলাদা করে ‘উত্তরের সেরা’ ও ‘দক্ষিণের সেরা’ বলে বেছে নেওয়া হয়েছে।