স্টাফ রিপোর্টার: মহালয়ার বাকি এখনও তিনদিন, পুজোর শপিংও এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি লোকজনের। তবে তাতে কী! আজ বুধবার থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু তিলোত্তমার। কাঠি পড়ে যাচ্ছে পুজোর ঢাকে। পুজো উদ্বোধনের আগেই। কলকাতার পুজো দেখতে এবার ১২টি দেশের প্রতিনিধি আসছেন। আর তাঁরাই আজ থেকে বেরিয়ে পড়ছেন ঠাকুর দেখতে।
ইউনেসকো, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং এক বেসরকারি উদ্যোগে পুজো দেখা শুরু হয়ে যাচ্ছে আজ থেকেই। ১১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে শহরের নামকরা ২৬টি পুজো দেখবেন বিদেশ থেকে আসা অতিথিরা। আজ প্রথমদিনই থাকছেন পাঁচ-ছটা দেশের রাষ্ট্রদূতরা। সব ঠিক থাকলে বিকেল পাঁচটায় টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ প্রথম তাঁদের দেখতে যাওয়ার কথা। তার আগে অবশ্য টাউন হলে পুজো সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী হবে। সেখানে থাকবেন বিদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: ‘এ রাজ্যে তো বিচার পাইনি’, কামদুনি কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে দিল্লির পথে মৌসুমী-টুম্পারা]
কলকাতার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2023) ইউনেসকোর স্বীকৃতির পরই বিদেশিদের মধ্যেও এখানকার পুজোকে ঘিরে আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এবার। জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, ফিজি, মঙ্গোলিয়ার মতো দেশের প্রতিনিধিরা আজ থেকেই বেরিয়ে পড়ছেন ঠাকুর দেখতে। উত্তর কলকাতা থেকে পুজো দেখা শুরু করে তাঁরা দক্ষিণ কলকাতার উল্লেখযোগ্য পুজোগুলো দেখবেন। তারমধ্যে একদিকে যেমন আছে চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, ত্রিধারা সম্মিলনী, দেশপ্রিয় পার্কের মতো পুজো, তেমনই আছে বেহালার এবং দমদম পার্কের দিকের বেশ কয়েকটি বড় পুজো। এখানকার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলবেন বিদেশ থাকা আসা অতিথিরা।
[আরও পড়ুন: দাঁতে ব্যথা অর্পিতার, প্রয়োজনে জেল হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসার নির্দেশ আদালতের]
উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, উদ্বোধনের আগেই ফাঁকায় ফাঁকায় এই ঠাকুর দেখা সেরে ফেলানোর জন্যই মহালয়ার অনেকটা আগে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সব নামকরা পুজোর অনেক জায়গাতেই এখনও প্রতিমার ফিনিশিং কাজ শেষ হয়নি। চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজও। বিদেশি অতিথিরা যাতে কাজ শেষ না হওয়ায় কোনওভাবে হতাশ না হন, তাই দ্রুত মণ্ডপ তৈরি এবং প্রতিমাতে শেষ তুলির টান দিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন শিল্পীরা। ঘুম নেই উদ্যোক্তাদেরও। তাঁদের কথায়, এবার তো পুজোর আগেই পুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে। উদ্বোধন হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি। কিন্তু যেহেতু বিদেশিরা আসছেন, তাই এর সঙ্গে গোটা দেশ এবং বাংলার মানসম্মান জড়িয়ে। তাই এখানকার পুজো যাতে তাঁদের মুগ্ধ করে, তার চেষ্টাতেই এখন মগ্ন প্রত্যেক পুজো কমিটি।