সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পুজোর (Durga Puja 2023) মুখে সুখবর বনমহল পুরুলিয়ায়। এ যেন ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য উপহার। জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার পর্যটনের প্রসার ঘটাতে বনমহলের এই জেলা দিয়ে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ভারতীয় রেলের তরফে এই প্রস্তাব ছিল আগেই। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় রেল বোর্ডের একটি বৈঠকে তা চূড়ান্ত হয় বলে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে হাওড়া যাবে। বৃহস্পতিবার তার ট্রায়াল রান হয়েছে। ওইদিন ট্রেনটি পুরুলিয়া স্টেশনে থামে।
তবে কবে থেকে এই ট্রেন চলবে? রাঁচি (Ranchi) থেকে হাওড়া পৌঁছতে কতক্ষণ সময় লাগবে? কোথায় কোথায় স্টপেজ? এসব কিছুই জানাতে পারেনি আদ্রা ডিভিশন কর্তৃপক্ষ। তবে সূত্র মারফত যা জানা গিয়েছে, তাতে পুজোর আগেই এই ট্রেন চালু হবে। পুরুলিয়া (Purulia) স্টেশনে এই ট্রেনের যে স্টপেজ রয়েছে, তা একেবারে নিশ্চিত বলে আদ্রা ডিভিশন জানিয়েছে। এদিন পুরুলিয়া স্টেশনের উপর দিয়ে এই ট্রেনের ট্রায়াল রান (Trial Run) হওয়ায় ভীষণই খুশি এই জেলার মানুষজন। এই ট্রেন দেখতে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া স্টেশনে ভিড় জমে যায়।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বসে আয়ারল্যান্ডের মহিলার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩]
বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) পোস্ট করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নতুন যাত্রাপথের কথা পুরুলিয়ার মানুষজনকে জানান জেলার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তারপর থেকেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ভাসছে এই জেলা। এই ট্রেনের ফলে পুরুলিয়া-কলকাতার দূরত্ব যে কমে যাবে তা একেবারে পরিষ্কার। এই ট্রেন ভায়া পুরুলিয়া, টাটানগর, ঘাটশিলা, ঝাড়গ্রাম হয়ে হাওড়া পৌঁছবে। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) বাংলা-ঝাড়খণ্ডের টুরিজম সার্কিটকে যেন আলাদাভাবে জুড়ে দেবে। বলছে আদ্রা ডিভিশন কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম, ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা হয়ে একেবারে পুরুলিয়া হয়ে রাঁচি। হাওড়া থেকে রাঁচি আসার সময় টাটানগরের পর বরাভূম স্টেশনে নেমে খুব সহজেই অযোধ্যা পাহাড় (Ayodhya Hill) যাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে রাজ চক্রবর্তী, ব্যাপারটা কী?]
এখনও পর্যন্ত আদ্রা ডিভিশন সূত্রে যা জানা গিয়েছে, তাতে জঙ্গলমহলের বলরামপুরের ওই বরাভূম স্টেশনে স্টপেজ রয়েছে। এই ট্রেনকে সামনে রেখে পুরুলিয়ায় পর্যটকের সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা মনে করছেন জেলার হোটেল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজন।