নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুমেও অশান্তি থামছে না বাংলাদেশে। নানা ঘটনায় আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। যার জেরে দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার হিন্দুরা। হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসবের সময় সে দেশে জঙ্গি হামলা থেকে একাধিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের হুমকি রয়েছে। আর এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে নরমে-গরমে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে বার্তা দিল কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে বলেন, ''বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বার বার বার্তা দিয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা এই যে, সব পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। দুর্গাপুজোর সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা ভালো হবে না। পুজো সকলের জন্য শুভ হোক।''
আসলে এ বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে পালিত হতে চলেছে শারদোৎসব। মাস দুই আগে গণ অভ্যুত্থানের জেরে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারান শেখ হাসিনা। পতন ঘটে আওয়ামি লিগ সরকারের। এখন ক্ষমতায় ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সক্রিয় জামাতের মতো কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। এই রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেই দুর্গাপুজো নিয়ে চিন্তার মেঘ জমছে সে দেশে। হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে নানা প্রান্তে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। অভিযোগ, নতুন সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে।
তাই মনে ভয় নিয়েই পুজোর প্রস্তুতি সারছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। ইতিমধ্যে দুর্গাপুজো নিয়ে নানা হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এমনকী দুর্গাপুজো উপলক্ষে দেশের দক্ষিণের জেলা খুলনার দাকোপ উপজেলার ৫টি মন্দিরে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে উড়ো চিঠি পাঠানো হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপনের আশ্বাস দিয়েছে ইউনুস সরকার। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার উৎসবের মরশুমে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বার্তা দিল। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের সেই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।