নিরুফা খাতুন: মহালয়া কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেল হপিংও শুরু হয়েছে। তবে তার মাঝেই আশঙ্কার খবর শোনাল হাওয়া অফিস। পুজোর মুখে আরব সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যদিও এই নিম্নচাপের প্রভাব বাংলায় পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। সুতরাং প্যান্ডেল হপিংয়ে সমস্যা হবে না কিছুই।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, পুজোয় ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। সুতরাং মনোরম আবহাওয়া বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নবমী, দশমীতে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ। এমনকী হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
[আরও পড়ুন: পাশে পড়ে কন্ডোম, মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারে ক্রমশ জোরাল ধর্ষণ করে খুনের সন্দেহ]
পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝঞ্ঝা সমতলের রাজ্যগুলিতে প্রভাব বিস্তার করবে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দক্ষিণ অসম ও সংলগ্ন এলাকায়। তামিলনাড়ুতে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীরে বৃষ্টি হতে পারে। কেরল ও মাহেতে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা।