সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান: বেসরকারি হাসপাতালের উদাসীনতায় দেহ বদলের অভিযোগ তুললেন মৃতদের পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) শোভাপুরে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল।
ইচ্ছাপুরের কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা পরেশ সামন্ত। বার্ধক্য জনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভরতি করা হয় দুর্গাপুরের শোভাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় পরেশবাবুর। অন্যদিকে একই সময়ে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঝাড়খণ্ডের নিরসার বাসিন্দা চম্পায় মাঝিরও। বৃহস্পতিবার ইছাপুরের বাসিন্দা পরেশ সামন্তর বাড়ির লোকজন এবং ঝাড়খণ্ডের নিরসার চম্পায় সামন্তর বাড়ির লোকজন দেহ নিতে আসেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেহ ঢাকা ছিল। পরিবারের কেউ মৃতদেহের মোড়ক খুলে দেখতে চাননি। কারণ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল দেখতে দেওয়া হবে না। তাতেই হয় গন্ডগোল।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই খুন কালনার টোটোচালক! গ্রেপ্তার গৃহশিক্ষক ও তার ছাত্র]
জানা গিয়েছে, ভুলবশত পরেশ সামন্তর দেহ নিয়ে চলে যান চম্পায় মাঝির বাড়ির লোকজন। আর পরেশ সামন্তর পরিবার চম্পায় মাঝির দেহ নিয়ে চলে যায়। তাঁরা শ্মশানে যাওয়ার পর বুঝতে পারেন দেহ বদলে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এরপর হাসপাতালের তরফে ঝাড়খণ্ড থেকে পরেশবাবুর দেহ দুর্গাপুরে ফিরিয়ে আনতে বলা হয় চম্পায়বাবুর বাড়ির লোকজনকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে।