সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'কলেজিয়ামের বৈঠক রয়েছে। রাস্তায় আটকে পড়েছি। ক্যাব ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা পাঠান।' খোদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামে এমন মেসেজ দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। কেউ কেউ হয়ত টাকাও পাঠিয়েছিলেন। অভিনব এমন প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হল খোদ শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এক মেসেজ রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ছবি দেওয়া। মেসেজে লেখা, 'হ্যালো, আমি প্রধান বিচারপতি। কলেজিয়ামে এক জরুরি বৈঠক রয়েছে। কিন্তু আমি কনৌট প্লেসে আটকে পড়েছি। ক্যাব ভাড়া বাবদ আমায় ৫০০ টাকা পাঠাতে পারেন? কোর্টে পৌঁছেই আমি আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব।' যারা এই মেসেজ পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগই বুঝে যান এ প্রতারণা চক্র।
[আরও পড়ুন: সংসদীয় কমিটি পুনর্গঠনে ঢিলেমি, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে নাড্ডাকে চিঠি তৃণমূলের]
কারণ, দেশের প্রধান বিচারপতি ক্যাব চড়ে আদালতে আসেন না। এবং যে মেসেজ পাঠানো হয়েছে তাতে ইংরেজি বানানে অজস্র ভুল। খোদ প্রধান বিচারপতির নাম নিয়ে এহেন প্রতারণার বিষয়টি শীর্ষ আদালতের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হয় আদালত। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শীঘ্রই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় খোদ পুলিশ কর্তারা।
[আরও পড়ুন: বাড়াতে হবে সদস্য সংখ্যা, দেশজুড়ে দুই পর্যায়ে ‘সদস্যতা অভিযান’ বিজেপির]
উল্লেখ্য, ডিজিটাল অ্যারেস্ট থেকে ভয়েস ক্লোনিং- যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা। দিনে দিনে পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর আকার নিতে শুরু করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, গত বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে অনলাইন প্রতারণা বেড়েছে ১৬৬ গুণ।