রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভোট রাজনীতিতে সাফল্য থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে দু, একটি উপনির্বাচনে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে পারলেও শেষ পর্যন্ত আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্যর্থতার তালিকায় নয়া সংযোজন। আর সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই সম্ভবত চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ফের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাম (Left Front) ব্রিগেড। তার জন্য এবার আলিমুদ্দিনের কর্তারা এগিয়ে দিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মকে। সূত্রের খবর, বছর শেষে টানা কর্মসূচিতে নামছে বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠন। ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘ইনসাফ যাত্রা’। চলবে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। নেতৃত্বে থাকবেন লড়াকু নেত্রী তথা DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)।
এমনিতেই পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি, নেতৃত্ব নিয়ে পক্ককেশ কমরেডরা চিন্তিত। ছাত্র-যুবদের হাতে ব্যাটন স্থানান্তরিত করতে পার্টির হোলটাইমারদের অবসর নেওয়ার প্রথা চালুর ভাবনা ভাবছে সিপিএম (CPM)। এছাড়া মাটি কামড়ে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে সৃজন ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের মতো তরুণরা। সেই কারণে তাঁদের কাঁধে দায়িত্ব দিয়েই ব্রিগেড সমাবেশের পরিকল্পনা বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমদের।
[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে লাদেনের হামলা, তিন বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’]
বাম ছাত্র-যুবদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, DYFI-এর ইনসাফ যাত্রা কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত হবে। শুরু হবে ৩ নভেম্বর। এরপর জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশ। প্রাথমিক দিন ঠিক হয়েছে, ৭ জানুয়ারি। নেতৃত্বে থাকবেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মীনাক্ষী, সৃজনদের কাঁধে ভর দিয়েই এগোতে চাইছে সিপিএম। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই DYFI-এর ব্রিগেড সমাবেশ। যদিও তাদের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মীনাক্ষী ইতিমধ্যেই ভোটে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়তে হয়েছে তাঁকে। লোকসভাতেও কি তাঁকে ফের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে? সেই প্রশ্ন থাকছেই।