নব্যেন্দু হাজরা: পুজোর আগেই শহরে নামছে আরও অ্যাপ ক্যাব। তবে পেট্রোল-ডিজেল চালিত নয়। দূষণের মাত্রায় কিছুটা লাগাম টানতে এবার কলকাতায় বৈদ্যুতিক অ্যাপ ক্যাব (E-Cab)। দিন পনেরোর মধ্যেই চালু হয়ে যাবে নয়া এই পরিষেবা। ওলা-উবেরের মতো আসবে নয়া অ্যাপ। সেখান থেকেই বুক করা যাবে এই ই-ক্যাব। এক বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে প্রায় এক হাজার গাড়ি নামবে শহরের রাস্তায়। অন্যান্য ক্যাবের ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের যে গাইডলাইন সেই অনুযায়ীই ভাড়া হবে এই গাড়িতে।
ইতিমধ্যেই গাড়ি নামানোর ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে ওই সংস্থা। বেশ কয়েক জায়গায় চার্জিং স্টেশনও তৈরি করছে তারা। পরিবহণ দফতরের কর্তারা মনে করছেন, যেহেতু ই-গাড়িতে জ্বালানির খরচ নেই, তাই ওলা-উবেরে সারচার্জের নাম করে যে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয় এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও তা কম হবে। শহরের রাস্তায় দূষণের মাত্রা কমাতে ই-গাড়ির উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার (WB Government)। সেইমতো ধাপে ধাপে নামানো হচ্ছে ই-বাস। নামবে ই-অটোও।
[আরও পড়ুন: দুর্নীতি ভুলিয়ে রাখতে দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কটাক্ষ দিলীপের]
ই-গাড়ি নামানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাতে একগুচ্ছে ছাড়ও দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাতেই ই-গাড়িতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন দফতরের কর্তারা। বেড়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন। দপ্তরসূত্রে খবর, এসি ট্যাক্সির বেস ফেয়ারের উপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ভাড়া নিতে পারবে এই গাড়ি। নির্দেশিকা অনুযায়ী, সর্বাধিক বেস ফেয়ার হবে ৫৬ টাকা। প্রতি কিলোমিটারে রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়া রয়েছে এসি ট্যাক্সির ক্ষেত্রে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। নির্দেশিকা অনুযায়ী অ্যাপ ক্যাব সর্বাধিক ৫০% ভাড়া নেওয়া যাবে। ফলে প্রতি কিলোমিটারে সর্বাধিক নেওয়া যাবে ২৮ টাকা ভাড়া।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এক বেসরকারি সংস্থা ই-ক্যাব নামানোর কথা বলেছে। অ্যাপের মাধ্যমে সেই গাড়ি বুক করা যাবে। প্রথমে ১০০০ গাড়ি নামাবে বলেছে। যত বেশি ই-গাড়ি রাস্তায় নামবে, তত দূষণের মাত্রা কমবে।’’ দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নয়া এই অ্যাপ ক্যাব জনপ্রিয় হতে কিছুটা সময় লাগবে হয়তো। তবে এতে অন্য ক্যাব সংস্থাগুলোর বেয়াদপি কিছুটা হলেও কমবে। কারণ দিনে-রাতে সারচার্জের নামে যে জুলুমবাজি তারা চালায় তাতে কিছুটা ছেদ পড়বে। বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হলে সকলেই চাইবে সঠিক ভাড়ায় পরিষেবা দিতে।