সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের সতীর্থদের মধ্যে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সবচেয়ে বেশি কাকে সম্মান করেন? চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় তাঁর নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। সে নিজের ভাল সময় হোক বা খারাপ সময়, তাঁর কেরিয়ার গড়ে তোলার পিছনে ‘মাহিভাই’য়ের অবদান কখনও অস্বীকার করেন না ‘কিং কোহলি’। অথচ টিম ইন্ডিয়ার (Team India) কিংবদন্তি অধিনায়কের সঙ্গে নাকি ধোনির সম্পর্ক আগাগোড়া এরকম ছিল না। এমনকী টেস্ট থেকে ধোনি অবসর নিয়ে নেওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে সাদাবলের ক্রিকেটে অধিনায়কত্বও ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন কোহলি। সদ্য প্রকাশিত একটি বইয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর (R Sridhar)।
আর কৌশিকের অনুলিখনে লেখা নতুন বই ‘Coaching Beyond- My days with the Indian cricket team’-এ শ্রীধর দাবি করেছেন, ২০১৪-১৫ সালে ধোনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কোহলিকে টেস্ট অধিনায়ক করা হয়। তারপর থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটেও অধিনায়ক হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন বিরাট। শ্রীধর দাবি করেছেন, “সাদাবলের অধিনায়কত্বে কোহলির আগ্রহ সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ২০১৬ সাল নাগাদ। সেসময় ও এমন কিছু বলেছিল যাতে সেটা প্রকাশ্যেও চলে এসেছিল।” শ্রীধর জানিয়েছেন, সেসময় দলের অন্দরে দুটি আলাদা পাওয়ার সেন্টার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যা সামাল দিতে আসরে নামেন খোদ তৎকালীন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)।
[আরও পড়ুন: লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি ইসলামিক সংগঠনের, নূপুর শর্মাকে বন্দুক রাখার অনুমতি দিল্লি পুলিশের]
আর শ্রীধরের দাবি, শাস্ত্রী একদিন কোহলিকে ডেকে নিয়ে বলেন,”শোনো, এমএস তোমাকে লালাবলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছে। ওকে সম্মান করো। যখন সময় হবে, তখন সাদাবলের ক্রিকেটেও ও তোমাকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবে। আজ যদি তুমি ওকে সম্মান না করো, তাহলে আগামী দিনে তুমিও তোমার জুনিয়রদের কাছে সম্মান পাবে না। আশেপাশে কী হচ্ছে ভেবো না, ধোনিকে সম্মান করো। অধিনায়কত্বের পিছনে ছুটবে না। ওটা আপনা-আপনি তোমার হাতে আসবে।”
[আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর]
শ্রীধর যে সময়টার কথা বলছেন সেটা ২০১৬ সাল। এর বছর দুই পরে ২০১৮ সালে ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কোহলিকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আচমকা অবসরও নিয়ে নেন মাহি। ঘটনাচক্রে অধিনায়ক হিসাবে বিরাটের শেষটাও ভাল হয়নি। কার্যত জোর করেই তাঁর হাত থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে সেটা রোহিতের হাতে তুলে দেয় বিসিসিআই (BCCI)।