সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার সকালে কেঁপে উঠল বঙ্গোপসাগর (Bay of Bengal) সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে ৫.১ মাত্রায় কেঁপে ওঠে বঙ্গোপসাগর লাগোয়া বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক এলাকা। সমুদ্রের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরেই কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। তবে এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। স্থলভাগেও এই কম্পনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের একাধিক এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির (এনসিএস) তরফে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ৪০৯ কিলোমিটার দূরেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। পুরী ও ভুবনেশ্বর থেকেও ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের দূরত্ব চারশো কিলোমিটারের কাছাকাছি। ভারতে সেভাবে কম্পনের তীব্রতা বোঝা যায়নি। তবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। এই কম্পনের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সুনামির আশঙ্কা নিয়েও কিছু বলা হয়নি এনসিএসের পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে যমজ বোনকে বিয়ে! আইন ভেঙে গ্রেপ্তার মহারাষ্ট্রের যুবক]
বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভারতের খুব কাছাকাছি। ঢাকার ৫২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল । তবে সমুদ্র তীরবর্তী কক্সবাজার থেকে মাত্র ৩৪০ কিলোমিটার দূরত্বেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল, জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় কম্পন অনুভূত হলেও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সকালে ভূমিকম্প হলেও সেভাবে আফটার শক অনুভব করা যায়নি। সুনামি বা জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা বাড়বে, সেরকমটাও মনে করছেন না এনসিএস আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একই রকম তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভূমিকম্পে অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন সেদেশের সাধারণ মানুষ। তাঁদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয় প্রেসিডেন্টের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘নীতি পুলিশ’ তুলে দিল ইরান, হিজাব বিদ্রোহে নতিস্বীকার খামেনেই প্রশাসনের!]