সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবারের ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কম্পন তুরস্কে (Turkey)। রবিবার রাতে ফের কেঁপে ওঠে বিপর্যস্ত তুরস্কের কাহরামানমারা এলাকা। ৪.৭ রিখটার স্কেলে কম্পনের পরে এক লাফে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ হাজার। এক সপ্তাহ আগের ভূমিকম্পের (Earthquake) পরে আটকে পড়া মানুষকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তারপরেই ফের কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
আগের কম্পনেই প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল কাহরামানমারা এলাকা। সেখানেই ছিল রবিবারের কম্পনের উৎসস্থল। স্থানীয় সময় রাত বারোটা নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নানা দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে চতুর্থবার, ফের রহস্যময় উড়ন্ত বস্তু গুলি করে নামাল আমেরিকা]
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জেরে আঙুল উঠছে বাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির দিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ম ভেঙে প্রচুর সংখ্যক বাড়ি তৈরি হয়েছে তুরস্কে। তাই কম্পনের মাত্রা খুব ভয়াবহ না হলেও অসংখ্য বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তার তলায় চাপা পড়েই প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। আপাতত ১১৩টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুর্কি পুলিশ। প্রত্যেকটিই জারি হয়েছে বাড়ি প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে।
এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোয়ানকেও। তাঁর আমলেই লাফিয়ে বেড়েছে বেআইনি নির্মাণের সংখ্যা। তাছাড়াও ভূমিকম্পের পরে যথাসময়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিছুদিন পরেই তুরস্কে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এহেন বিপর্যয়ে বেশ চাপেই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট।