সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের (The Moon)মাটিতে সন্দেহজনক কম্পন। কিন্তু চন্দ্রযান ৩’এর অবতরণ তার কারণ নয়। বরং কম্পনের উৎস চাঁদের মাটি। বলা হচ্ছে, ‘স্বাভাবিক’ভাবেই যা ভূমিকম্পপ্রবণ। ‘জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চ’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে চাঁদের প্রকৃতি সম্পর্কে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, চাঁদে দিন এবং রাতের উষ্ণতার (Temparature) চরম ফারাক। আর এই ফারাকের কারণেই চাঁদের মাটির এত কাঁপন। গবেষক ফ্রান্সিসকো সিভিলিনি দাবি, যেমন ভাবা হয়, তেমন শান্তশিষ্ট, নীরব জায়গা চাঁদ মোটেই নয়। সেখানে দিনে যদি ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে, রাত ঘনালে সেটাই ঝুপ করে মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। ফলে দিনের বেলায় চাঁদের মাটির যা প্রসারণ হয়, রাতে সেটাই সংকুচিত হয় বহুমাত্রায়। এই সংকোচন-প্রসারণের কারণেই চাঁদের মাটি কেঁপে ওঠে প্রায়শই। একে বলে ‘থার্মাল মুন-কোয়েক’।
[আরও পড়ুন: জল্পনায় জল ঢেলে ইডির তলবে সাড়া, ফাইল হাতে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির নুসরত জাহান]
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর জমিতে কম্পন টের পেয়েছিল ভারতের চাঁদ-সওয়ারি, চন্দ্রযান ৩-এর ‘বিক্রম’ ল্যান্ডারও (Lander Vikram)। তবে দক্ষিণ প্রান্তে না হলেও চাঁদে এখনও পর্যন্ত সফল অভিযান সম্পন্ন করেছে আমেরিকা, রাশিয়া। সত্তরের দশকে হয়েছিল আমেরিকার অ্যাপোলো-১৭ মিশন। সেই মিশনেই চাঁদের মাটির এই বৈশিষ্ট্যের হদিশ মিলেছিল বলে দাবি গবেষক ফ্রান্সিসকোর। তবে তা আরও খতিয়ে দেখে নিশ্চয়তা মিলেছে সম্প্রতি।
[আরও পড়ুন: তিন বছর ধরে পরকীয়া, বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বান্ধবীকে ‘খুন’ সেনা আধিকারিকের]
জানা গিয়েছে, অ্যাপোলো-১৭ (Appollo 17) যানটির লুনার ল্যান্ডার বেসটিও, উষ্ণতায় চাঁদের মাটির প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে গরম হয়ে বর্ধিত হয়। আবার রাত ঘনালে ঠান্ডায় সংকুচিত হয়ে আসে। একটানা এমন চলতে থাকায় ল্যান্ডার বেসের কাঠামোয় ধরেছে ফাটল। ফলে সেখানে কম্পনের মাত্রা বেশি ধরা পড়েছে। সমীক্ষার অন্যতম সদস্য, গবেষক অ্যালেন হাস্কার জানিয়েছেন, ‘‘আশা করছি, এই ফলাফল খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে আমরা চাঁদের মাটি সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানতে পারব।’’