স্টাফ রিপোর্টার : কলকাতা লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে দুই ম্যাচ বাকি থাকলেও সেই রাউন্ডে যাওয়া হচ্ছে না মোহনবাগানের। ফলে এবারের মতো ঘরোয়া লিগে দুই প্রধানের লড়াই দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না সমর্থকরা।
অবশ্য তাই বলে মরশুমে একটা ‘বড় ম্যাচ’ কম হবে, তা নয়। ঘরোয়া লিগে তৈরি হওয়া শূন্যতা যেন পূর্ণ হয়ে যাবে সোমবার। তবে কলকাতা নয়, কয়েকশো কিলোমিটার দূর লখনউয়ে কেডি সিং স্টেডিয়ামে। নবাবের শহরে ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রদর্শনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান। অবশ্য সিনিয়র দল নয়, দুই প্রধানের রিজার্ভ দলই খেলবে এই ডার্বি। তবে লড়াইটা যখন ইস্ট-মোহনের, তখন ফুটবলারদের নামে বিশেষ তফাত হয় কি! তার উপর ইস্টবেঙ্গলের স্কোয়াডে থাকা হীরা মণ্ডল, আদিত্য পাত্র, তন্ময় দাসরা নিয়মিত সিনিয়র দলেও খেলেন। শনিবার সন্ধ্যায় লখনউ পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও এদিন বৃষ্টির জন্য অনুশীলনই করতে পারলেন না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। স্টেডিয়াম পর্যন্ত গিয়েও ফিরে আসতে হয় তাঁদের। সবুজ-মেরুন শিবিরেও চেনা মুখের অভাব নেই। তবে তারা লখনউ পৌঁছায় রবিবার বিকালে। ফলে দু’দলই কোনওরকম অনুশীলন ছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় ম্যাচ খেলতে নামবে।
[আরও পড়ুন: লিভারপুল ছাড়তে পারেন সালাহ! ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ওড়ানোর পর ইঙ্গিত মিশরের তারকার]
ব্যক্তিগত কাজে কেরল গিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ। সেখান থেকেই সরাসরি লখনউয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে শেষ কয়েকদিন দলের অনুশীলনে না থাকলেও ডার্বি নিয়ে বিশেষ ভাবনা নেই তাঁর। বিনোর কথায়, “ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে এই দুই দল মুখোমুখি হলে সমর্থকদের আবেগ অন্যরকম রূপ নেয়। সেই আবেগের গ্রাস থেকে ফুটবলাররাও ছাড় পায় না। আমরা ডার্বি নিজেদের চেনা ছন্দেই খেলব। এই ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের প্রচুর বার্তা পেয়েছি। আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নামব।” মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজও শোনালেন, “ডার্বি যে শহরেই হোক না কেন, সমর্থকদের উন্মাদনা একই রকম থাকে। আমরা ম্যাচটা গুরুত্ব দিয়েই খেলব। বিজয়ী হয়ে ফেরাই আমাদের লক্ষ্য।” এবার ঘরোয়া লিগে বিনোর দলের কাছে ২-০ গোলে হার মেনেছে সবুজ-মেরুন। সেই জয়ের ধারা বজায় রাখাই লক্ষ্য লাল-হলুদের। আবার প্রদশর্নী ম্যাচ হলেও সেই হারের বদলা নেওয়ার ভাবনা নিয়েই নামছেন কার্ডোজোরা।
[আরও পড়ুন: প্যারালিম্পিকের হাই জাম্পে রুপো নিষাদের, ইতিহাস গড়ে ২০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ প্রীতির]
এক শতাব্দীরও বেশি পুরনো দুই প্রধানের লড়াই বাংলার বাইরে বিভিন্ন শহরেই হয়েছে অতীতে। দিল্লি, মুম্বই, ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটি, কোচি সহ মোট ২২ শহর সাক্ষী থেকেছে ‘ডার্বি’-র। তবে এর আগে লখনউয়ে কখনও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মুখোমুখি হয়নি। নতুন ভেনুতে প্রথম ম্যাচে জয়টা নিজেদের নামে করাই লক্ষ্য দুই প্রধানের।