সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়ের রাস্তা ভুলে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে গতবার ঘুরে দাঁড়ায় লাল-হলুদ। কলিঙ্গ সুপার কাপে জিতে ট্রফি জয়ের খরা কাটায় ইস্টবেঙ্গল। আর সুপার কাপ জেতার ফলে এএফসি কাপে (AFC Cup) খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যান নন্দকুমাররা।
বুধবার এএফসি কাপে তুর্কমেনিস্তানের দল আলতাইন আসিরের বিরুদ্ধে নামবেন কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। তার আগে স্প্যানিশ কোচ বলছেন, ''ক্লাবের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে আমরা এশীয় পর্যায়ে খেলিনি। আমরা তৈরি। কঠিন একটা পরীক্ষার সামনে আমরা। ওদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ে দেখাতে হবে যে আমরাও ওদের পর্যায়েই।''
[আরও পড়ুন: এশিয়াডে পদকের সেঞ্চুরি, অলিম্পিকে সর্বসাকুল্যে ৬, কেন আশার আলো দেখিয়েও হতাশা প্যারিসে?]
তবে গত কয়েকবছরে ইস্টবেঙ্গল এশীয় পর্যায়ের কোনও টুর্নামেন্টেই খেলেনি। সেই অভিজ্ঞতাও নেই তাদের। সেই প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলছেন, ''বাস্তবটা মেনে চলতে হবে আমাদের। আমাদের দলের অনেক প্লেয়ারেরই এটাই প্রথম এএফসি ম্যাচ। ওদের দলে এমন কিছু খেলোয়াড় রয়েছে যারা ২০ বা তার বেশি সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে প্রতিযোগিতায়। আমরা লড়াই করব। সেই সঙ্গে সমর্থকদেরও সমর্থন দরকার।'' চোটের জন্য নিশু কুমার নামতে পারবেন না। গতবারের থেকে এবারের দল শক্তিশালী ইস্টবেঙ্গলের। কুয়াদ্রাত মনে করেন তারা আন্ডারডগ হিসেবে নামছেন এই ম্যাচে। কুয়াদ্রাত বলছেন, ''আমরা ফেভারিট নই। ৯ বছর পরে আমরা এশীয় পর্যায়ে খেলছি। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার ইস্টবেঙ্গলের নেভার সে ডাই অ্যাটিটিউড রয়েছে। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাব। হারার আগেই হার মানব না। পাঁচ বছর আগে আলতাইন আসির কিন্তু ভালো দল ছিল। আমাদের কাছে এটা নতুন একটা পরীক্ষা। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার এটাই সেরা সুযোগ।''
কুয়াদ্রাতের সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন নন্দকুমার। তিনিও প্রথমবার এএফসি কাপ খেলতে নামছেন। সেই প্রসঙ্গে নন্দকুমার বলছেন, ''আমি এই ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এটাই আমার প্রথম এএফসি ম্যাচ। খেলোয়াড়রা মাঠে নামার অপেক্ষায়। আমরা তৈরি।''