সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দশেক পরই মরশুমের প্রথম ডার্বি। বৃহস্পতিবার বায়ুসেনাকে হাফ ডজন গোল দিয়ে যে লড়াইয়ের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। তবে এখন ডার্বি নিয়ে নয়, ইস্টবেঙ্গলের ভাবনায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু’র যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। ১৪ আগস্ট যুবভারতীতে যে ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব অলটিন আসারের।
বুধবার ডুরান্ড কাপে কিশোরভারতীতে ডাউনটাউন হিরোজ এফসি-কে হারানোর পর সেকথাই বলছিলেন মাদিহ তালাল। লাল-হলুদের নতুন তারার কথায়, “ডার্বি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না এখনই। বরং আমাদের মাথায় রয়েছে এএফসি-র ম্যাচ। অলটিনকে হারাতে পারলে আমরা এশিয়ান ফুটবলের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার সুযোগ পাব। সেটাই এখন আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ছিল না বিশ্বমানের জ্যাভলিন, প্রশিক্ষণেও নিতে হয়েছে প্রতিবেশীদের সাহায্য, অলিম্পিকে ইতিহাস সেই নাদিমের]
তবে দলের চোট-তালিকা ক্রমেই বাড়ছে। ক্লেটন সিলভা, নন্দকুমার, প্রভাত লাকড়ারা কবে পুরোপুরি ফিট হয়ে মাঠে নামবেন স্পষ্ট নয়। বুধবারের ম্যাচে দলেই রাখা হয়নি জিকসন সিংকে। আবার স্কোয়াডে থাকলেও খেলেননি দিমিত্রিয়স দিয়ামন্তাকস। তবে শেষ দুই জনকে নিয়ে সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। লাল-হলুদ হেডস্যর বলেন, “ওরা ঠিক আছে। এএফসির ম্যাচের আগে পুরো ফিট হয়ে যাবে।” বৃহস্পতিবার সকালে হোটেলেই রিকভারি সেশন সারেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। অন্যদিকে, ভিসা-পর্ব মিটিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই হেক্টর ইউস্তেকে শহরে আনার বিষয়ে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনিতে ডুরান্ডে প্রথম দু’ম্যাচেই গোল খাওয়া নিয়ে উদ্বেগ গোপন করেননি কুয়াদ্রাত। ইউস্তে ডার্বির আগে দলে যোগ দিলে ভাবনা কমবে লাল-হলুদ কোচের।
অন্যদিকে, শুক্রবার ফের কলকাতা লিগে অভিযান শুরু করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। ঘরের মাঠে তন্ময় দাসদের প্রতিপক্ষ ইস্টার্ন রেল। শেষ ম্যাচে পাঁচ গোল খাওয়া রেলের দলটি রয়েছে অবনমন রাউন্ডের আওতায়। সেখানে লিগে এখনও অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল ৬ ম্যাচে পেয়েছে ১৬ পয়েন্ট। গত বছর লিগে ইস্টার্ন রেলকে ৫-১ গোলে হারালেও এই ম্যাচ নিয়ে সাবধানী লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ।
(আজ কলকাতা লিগে-ইস্টবেঙ্গল বনাম ইস্টার্ন রেল
দুপুর ৩.০০, ইস্টবেঙ্গল মাঠ, জি ২৪ ঘণ্টার ইউটিউবে)