সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “চিন্তা নেই। সমস্যা মিটে যাবে। আইএসএলে (ISL) খেলবে ইস্টবেঙ্গলও।” ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের উদ্বোধনে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে এভাবেই হাসি ফোটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে দেশজুড়ে চিরস্থায়ী করার আহ্বান জানালেন তিনি।
এবার থেকে প্রতি বছর ১৬ আগস্ট বাংলায় পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। সে কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সোমবার সেই প্রকল্পেরই শুভ উদ্বোধন হল। খেলা হবে স্লোগানের ব্যাপ্তির কথা ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন তো সংসদেও খেলা হবে স্লোগান উঠছে। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ- সর্বত্র খেলা হবে শোনা যাচ্ছে। খেলা তো কিছুটা হয়েছে, আরও হবে।” এরপরই যোগ করেন, খেলার মধ্যে দিয়ে ঐক্য, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে। তাই খেলা অত্যন্ত জরুরি।
[আরও পড়ুন: ‘মসিহা’র বিশ্বজয়, Special Olympics-এ এবার ভারতের মুখ Sonu Sood]
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি। মূলত এই ধ্বনিকেই প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। বিজেপি এই স্লোগানকে হিংসাত্মক আখ্যা দিলেও ‘খেলা হবে’র জনপ্রিয়তায় আঁচ পড়েনি। বিধানসভার ফলই তার প্রমাণ। খেলা হবে প্রকল্পের শুভারম্ভে বারবার সে কথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে এও বলেন, এই ‘খেলা হবে’-কে গোটা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই স্লোগান চিরস্থায়ী করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ব্যাট-বল, খেলার মাঠের আড়ালে কেন্দ্রের সরকারকে দিয়ে রাখলেন কড়া রাজনৈতিক বার্তাও। বলে দেন, “বাংলা পথ দেখিয়েছে। এবার সারা দেশেই খেলা হবে।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যায় তিন প্রধানের কথা। এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) আসন্ন আইএসএলে (ISL) খেলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এখনও ইনভেস্টরদের সঙ্গে সব সমস্যা মেটেনি ইস্টবেঙ্গলের। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দেন, “চিন্তা নেই। হয়ে যাবে। আমি চাই ইস্টবেঙ্গলও (East Bengal) আইএসএলে খেলবে। আগেরবারও আমি সমস্যা মেটাতে হস্তক্ষেপ করেছিলাম। আমাদের শহরের ক্লাব তো। এবারও সমস্যা মিটে যাবে। যা যা চুক্তি হয়েছে, একটু ছেড়ে খেলুন। তাহলেই হয়ে যাবে। আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। ইনভেস্টররা পাঁচ বছরের জন্য গ্যারান্টি নেবে, এটা তো মুখের কথা নয়। তাই টুকটাক যা সমস্যা আছে, মিটে যাবে।”
‘খেলা হবে’ প্রকল্পের উদ্বোধনে মমতা জানান, ১৬ আগস্টের খেলার জন্য ১ লক্ষ বল দেওয়া হবে দরিদ্র ক্লাবগুলিকে। এছাড়া ৩০৩টি ক্লাবের কাছে বল পৌঁছে দেবে IFA। পাশাপাশি এদিনই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের হাতে ফুটবল তুলে দেন তিনি। মঞ্চে খানিকক্ষণ ফুটবল হাতে খেলতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।