স্টাফ রিপোর্টার : কলকাতা লিগে অভিযান আগেই শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। তবে সেই ম্যাচ ছিল বারাকপুর স্টেডিয়ামে। রবিবার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে লাল-হলুদের রিজার্ভ দল ঘরের মাঠে মরশুমে প্রথমবার খেলতে চলেছে। প্রতিপক্ষ জর্জ টেলিগ্রাফ। প্রথম ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে জয় এসেছে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। এবার ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জ।
গতবছর একটুর জন্য কলকাতা লিগ (Calcutta Football League) জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে লিগে ভালো খেলার সুবাদে বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন সিনিয়র দলে। তাদের মধ্যে অন্যতম পিভি বিষ্ণু, আমন সিকে, জেসিন টিকে, শ্যামল বেসরা। পাশাপাশি প্রশংসিত হয় মহম্মদ রোশেল, তন্ময় দাস, আদিত্য পাত্র, নসীব রহমানের খেলা। বিষ্ণু ছাড়া সকলেই এবার লিগে খেলছেন। পাশাপাশি তন্ময় ঘোষ, হীরা মণ্ডল, মনতোষ চাকলাদার, সুব্রত মুর্মুর মতো অভিজ্ঞ মুখকে এবার লিগের স্কোয়াডে রেখেছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। সিনিয়র দলের সার্থক গোলুই, সুহের ভিপি, এডউইন ভন্সপালদেরও খেলতে দেখা যেতে পারে লিগে। একদিন আগেই সার্থক ও হীরার নাম আইএফএ-তে নথিভুক্ত করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ ম্যাচের দলে বিশেষ বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই দুই ফুটবলারকে প্রথম একাদশে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
[আরও পড়ুন: উইম্বলডনে অঘটন, ছিটকে গেলেন শীর্ষবাছাই ইগা, বিদায় বোপান্না-ভামব্রিদেরও]
ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলার চাপ নতুন নয় কোচ বিনোর জন্য। প্রথম ম্যাচের মতো বড় ব্যবধানে জয় দেখার জন্যই যে সমর্থকরা আসবেন, তা জানেন তিনি। শেষ ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফ ১-০ গোল জিতেছে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যে গৌতম ঘোষের দল বাড়তি সতর্ক থাকবে, তাও অজানা নয় বিনোর। বলছিলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনও দলই অন্য মনোভাব নিয়ে নামে। আমরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রথম ম্যাচের পর সময় পেয়েছি। সেখানে ফুটবলাররা আরও উন্নতি করেছে। আমরা এবার লিগে ভালো পারফর্ম করতে চাই, যাতে সমর্থকরা খুশি হন।” সমর্থকরা ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হিসাবে রবিবার দুপুরে মাঠে আসুন, চাইছেন বিনো।