সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেন (Local Train) চালানোর জন্য আর তদ্বির করেনি রেল (Indian Railways)। তবে নির্দেশ মিললে সেই মোতাবেক ট্রেন চালু হবে। শুক্রবার পূর্ব রেলের (Eastern Railway) এজিএম অনিত দুলাত বলেন, ‘‘আমরা আর আবেদন জানাইনি। রাজ্য যেভাবে বলবে সেভাবেই লোকাল ট্রেন চালানো হবে। ওরা যদি বলে একসঙ্গে সব লোকাল চালু করা হোক, তবে তাই করবে রেল। যদি বলে ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়িয়ে চালানো হোক, সেই ভাবেই পদক্ষেপই করা হবে। তবে রেল সব ধরণের নির্দেশের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।’’
গত বারের মতো সম্পূর্ণ লকডাউন হয়নি। ফলে স্টাফ স্পেশাল চলছে। কর্মীদের সঙ্গে এমার্জেন্সি সার্ভিসের লোকজনও উঠছেন সেই ট্রেনগুলিতে। এজন্য মান্থলিও বিক্রি করতে হচ্ছে রেলকে। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাজীব রঞ্জন জানাচ্ছেন, ‘‘প্রতিটি স্টেশনে কয়েকটি করে কাউন্টার খোলা রয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য লোকাল চালুর নির্দেশ এলেই সব কাউন্টার খোলা হবে। এজন্য সব কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলা হবে। টিকিট পরীক্ষকরা এখন একশো শতাংশই কাজ করছেন। ফলে তাঁদেরও সমস্যা নেই। ট্রেন যেহেতু চালু রয়েছে তাই সব রেকই নিয়মিত স্যানেটাইজ করা হচ্ছে। হাওড়া, শিয়ালদহে যে সংখ্যাক রেক রয়েছে তার সবই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চালিয়ে সক্রিয় রাখা হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: ফের তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি, গঙ্গাজল ছিটিয়ে ৩০০ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরাল ঘাসফুল শিবির]
শিয়ালদহ ডিভিশনে লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের চাপ অতিরিক্ত থাকায় কিছু দিন আগে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ডিআরএম এসপি সিং। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সবার জন্য ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়নি রাজ্য। তিনি শুক্রবার বলেন, “বারবার আবেদন জানানো সম্ভব নয়। রাজ্য যখন সম্মতি দেবে তখনই চালানো হবে ট্রেন।”
দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে আনলকের সময় শিয়ালদহে ৮৮৬টি লোকাল ট্রেন চলছিল। এখন স্টাফ স্পেশাল চলছে ২৫১টি। ২১ জুন পর্যন্ত যে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চলার কথা তা যথাসময়ে চলবে। তবে পূর্ব রেলের ৪২টি ট্রেন এখনও চালানোর বিষয়ে অনিশ্চিত। যার মধ্যে ছ’টি বাংলাদেশে যাতায়াতকারী ট্রেন রয়েছে। মেল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য করোনা বিধিনিষেধ যে ভাবে চালু রয়েছে তা একই রকমভাবে সক্রিয় থাকবে লোকাল চললেও। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি।