সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনটাও হতে পারে? জীবিত অবস্থায় কোটি কোটি ছারপোকার কামড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জেলবন্দির! অন্তত ওই বন্দির আইনজীবীর তেমনটাই দাবি করেছেন। আমেরিকার (America) আটলান্টা শহরের একটি জেলে বন্দিমৃত্যুর ঘটনায় চমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ মানতে চায়নি বন্দির পরিবার এবং তাঁর আইনজীবীর দাবি। তাঁদের মতে অবহেলায় মৃত্যু হয়নি অপরাধীর। বরং তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন।
মৃত ব্যক্তির নাম লাশন থম্পসন। একটি অপরাধের ঘটনায় তাঁর জেল হয়। কিছুদিন পর জেলের চিকিৎসকরা জানান, মানসিক ভাবে অসুস্থ থম্পসন। সেই কারণে তাঁকে ফুলটন কাউন্টি জেলের মনোরোগ শাখায় পাঠানো হয়। থম্পসনের আইনজীবী মাইকেল ডি হার্পার দাবি করেছেন, জেলের অব্যবস্থার জন্যই মৃত্যু হয়েছে বন্দির। নোংরা সেলে জীবিত অবস্থায় ছারপোকা এবং অন্য পোকার কামড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মক্কেলের। ওই আইনজীবী ছারপোকা ভরতি থম্পসনের মৃতদেহের ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন। জেল আধিকারিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দাবিও জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বছর ঘুরে শেষকৃত্য, ‘মেয়ের দেহাংশটুকু দিন’, আদালতের দ্বারস্থ শ্রদ্ধা ওয়ালকরের বাবা]
এক বিবৃতিতে ডি হার্পার জানিয়েছেন, “আমাদের ধারণা জীবিত অবস্থায় ওঁকে ছারপোকায় খেয়ে ফেলেছিল। যে জেলখানায় রাখা হয়েছিল, সেখানে কোনও সুস্থ মানুষ থাকতে পারেন না।” যদিও জেলের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, কারাকক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বন্দিকে। ডি হার্পার অভিযোগ করেছেন, থম্পসনের অবস্থা খারাপ হতে থাকলেও জেল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসাকর্মীরা ব্যবস্থা নেয়নি।
[আরও পড়ুন: মারণ খেলার ফাঁদ! ষাঁড়ের গুঁতোয় পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে এল নাড়িভুড়ি, মৃত্যু যুবকের]
এদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ছারপোকা বিশেষজ্ঞ এবং কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ মাইকেল পটার। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে যদি ছারপোকার উপদ্রব চলতে থাকে, তবে রক্ত কমে গিয়ে গুরুতর অবস্থা হতে পারে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে সেই ব্যক্তি মারাও যেতে পারেন। কারণ মানুষের রক্তই ছারপোকার সুস্বাদু খাবার। ফলে যত বেশি ছারপোকার কামড়, তত বেশি রক্ত কমে যাবে শরীর থেকে। এই কারণেই কি মৃত্যু হয়েছে থম্পসনের? উত্তর খুঁজতে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। দোষ প্রমাণিত হলে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারেন জেলের আধিকারিকরা।