হোসে রামিরেজ ব্যারেটো: একটা ডার্বির রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আরেকটা ডার্বি। এই ডার্বিতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের যা উচ্ছ্বাস দেখছি, সেটা স্বাভাবিক। আমার মনে হয়, সুপার কাপের ডার্বিতে হারের পর মোহনবাগান সমর্থকরাও চাইছেন যত দ্রুত এই ডার্বিতে (EB vs MB) জিতে আবার উচ্ছ্বাসের রাস্তায় হঁাটতে।
ফুটবলে কোচ একটা ফ্যাক্টর। এমন পরিস্থিতিতে কুয়াদ্রাতকে (Carles Cuadrat) বাহবা দিতেই হবে। তবে আইএসএল ডার্বিতে মোহনবাগানের ডাগ আউটে থাকবেন হাবাস। এটা কিন্তু একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে এই ম্যাচে। বিদায়ী কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে (Juan Ferrando) সম্মান জানিয়েই বলছি, এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাবাসের অভিজ্ঞতা যথেষ্টই কাজ দেবে মোহনবাগানের। আমি বরং মোহনবাগান কোচকে বলব, দলটায় একাধিক অভিজ্ঞ ভালো ফুটবলার রয়েছে। এই মুহূর্তে যেটার অভাব সেটা আত্মবিশ্বাসের। হাবাসের কাজ ফুটবলারদের সঙ্গে ডার্বির আগের মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে কথা বলা। তাদের আবার বিশ্বাস করানো, তোমরাই সেরা ফুটবলার। আমার মনে হয়, অভিজ্ঞ হাবাস এই কাজে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন।
[আরও পড়ুন: নেই ২ বিদেশি, শৌভিক, ডার্বির আগে মাঝমাঠ নিয়ে সমস্যায় কুয়াদ্রাত]
এই ডার্বিতে নামার আগে দুই দলের ফুটবলারদের উদ্দেশেই বলতে চাই, সুপার কাপ আর আইএসএল পুরোপুরি আলাদা কিন্তু। পরিবেশ থেকে পরিকল্পনা সবকিছুই আলাদা থাকে দুটো টুর্নামেন্টে। তাই সুপার কাপে যে পরিকল্পনা ছিল দুই কোচের, আইএসএলে সেই পরিকল্পনা চলবে না। এই যেমন ধরুন, সুপার কাপে প্রথম একাদশে ছয় বিদেশি থাকলেও আইএসএল ম্যাচে তা থাকবে না। আরও একটি বিষয়। সুপার কাপের সময় মোহনবাগানের সাত ফুটবলার জাতীয় দলের খেলায় ব্যস্ত ছিল। তারা ফিরেছে। তাই সুপার কাপে ডার্বি হেরে গেলেও সেই ম্যাচের সঙ্গে আইএসএলের এই ডার্বি একেবারেই আলাদা। তার উপর আনোয়ার আলি চোট কাটিয়ে যদি পুরো ফিট হয়ে এই ম্যাচে নামতে পারে, তাহলে কিছুটা শক্তিবৃদ্ধি যে হবে মোহনবাগানের, বলাই বাহুল্য।
তবে আমার কামিন্সদের (Jason Cummings) উদ্দেশে একটাই কথা বলা। গত ডার্বিতে দেখেছিলাম ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণভাগের কোনও ঝঁাঝ নেই। যা দেখে হতাশই হয়েছি। এবার বলতে পারি। সময় এসেছে কামিন্স, সাদিকুদের নিজেদের প্রমাণ করার। আমি কামিন্সদের বলব, কোচ যেখানেই খেলান নিজেদের প্রমাণ করো। দিন শেষে বিদেশিরাই কিন্তু ম্যাচের ফারাক গড়ে দেয়।