দুলাল দে: আইএসএলের রেশ এখনও মেটেনি। ঠিক এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে সুপার কাপ। কিন্তু সেখান থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিল চার্চিল ব্রাদার্স। সুপার কাপে গোয়ার দলের প্রথম ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ফলে চার্চিল যদি না খেলে, তাহলে প্রথম ম্যাচে ওয়াক ওভার পেয়ে যেতে পারে মোহনবাগান। যদিও এই বিষয়ে এআইএফএফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত আই লিগের চ্যাম্পিয়ন কে হবে, সেই জটিলতা নিয়ে। ২২ ম্যাচে গোয়ার দলের পয়েন্ট ৪০। সেখানে সমসংখ্যক ম্যাচে ইন্টার কাশীর পয়েন্ট ৩৯। তারপরও এখনই কোনও দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যায়নি। কারণ ইন্টার কাশী আবেদন করেছে, নামধারী এফসি তাদের বিরুদ্ধে 'অবৈধ প্লেয়ার' খেলিয়েছিল। সেখান থেকে তিন পয়েন্ট পেলে চ্যাম্পিয়ন হবে হাবাসের দল।
বিষয়টি আপাতত আপিল কমিটির অধীনে। কে চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই সিদ্ধান্ত হবে সেখানেই। যদিও চার্চিল মনে করছে, তাদের বিরুদ্ধে 'বিমাতাসুলভ' আচরণ করছে এআইএফএফ। এর মধ্যে সুপার কাপের সূচিও বানিয়ে ফেলেছে তারা। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন কে নির্ধারিত হয়নি, তাই কার্যত লটারি করতে হয়েছে। যে পদ্ধতিতে 'অনিয়ম' ও 'স্বচ্ছতার অভাব' রয়েছে অভিযোগ রয়েছে। অতএব প্রতিবাদস্বরূপ তারা সুপার কাপ থেকে নাম তুলে নিচ্ছে। সুপার কাপে তাদের ম্যাচ ২০ এপ্রিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তারা নাম তুলে নিলে 'ওয়াকওভার' পেয়ে পরের রাউন্ডে চলে যেতে পারে মোলিনার দল।
তবে শুধু চার্চিল ব্রাদার্সই নয়, গোটা আই লিগ মরশুম যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মোট ছটি ক্লাব। চার্চিল ছাড়াও দিল্লি এফসি, আইজল,নামধারী এফসি, রিয়াল কাশ্মীর ও শ্রীনিধি ডেকান। তাদের অভিযোগ, ইন্টার কাশী অনেক ক্ষেত্রেই 'অসংগত সুবিধা' পেয়েছে। এর সঙ্গে ছটি ম্যাচের ঘটনা তুলে দিয়েছে তারা। যেখানে ইন্টার কাশী 'সুবিধা' পেয়েছে। আপিল কমিটির শুনানি শুরুর পরই ছটি ক্লাবের একসঙ্গে চিঠি দেওয়া ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে অনেকে।